Advertisement
E-Paper

ছানার জোগান কমলেও তুঙ্গে মিষ্টির চাহিদা

মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে অন্তত দ্বিগুণ মিষ্টি তৈরি হয়েছিল। এক বেলা শেষ হতে না হতেই টান পড়ছে মিষ্টিতে।

মিষ্টি তৈরি হচ্ছে সিউড়ির কড়িধ্যায় মিষ্টির দোকানে।

মিষ্টি তৈরি হচ্ছে সিউড়ির কড়িধ্যায় মিষ্টির দোকানে। —নিজস্ব চিত্র।

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪১
Share
Save

ছানার জোগানে টান পড়লেও পুজোর ক’দিন মিষ্টির বাজারে জোয়ার ছিল বীরভূমে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, লাড্ডু-বোঁদের মতো মিষ্টির বিক্রি বেড়েছে। তাই ছানার চাহিদা-জোগানের অসামঞ্জস্য প্রভাব ফেলেনি মিষ্টির বাজারে। সন্দেশ-রসগোল্লা না পেলে লাড্ডু-বোঁদে-গজা কিনেছেন ক্রেতারা।

মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে অন্তত দ্বিগুণ মিষ্টি তৈরি হয়েছিল। এক বেলা শেষ হতে না হতেই টান পড়ছে মিষ্টিতে। জেলা সদরের একাধিক মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন, ‘‘পুজোর কয়েক দিন ছানার জোগান কিছুটা কম ছিল। ইচ্ছা থাকলেও বেশি পরিমাণ মিষ্টি বানানো যায়নি। খরিদ্দারদের দাবি মেটাতে, লাড্ডু-বোঁদের মতো ছানাবিহীন মিষ্টি তৈরির দিকে ঝুঁকছেন অনেকে৷’’ বিজয়া দশমী উপলক্ষে মিষ্টিমুখের রেওয়াজ চালু থাকায় ত্রয়োদশী পর্যন্ত মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে থাকবে বলেও জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লির মিষ্টি বিক্রেতা আস্তিক দাস বলেন, ‘‘ষষ্ঠী থেকেই মিষ্টির চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। পুজোর পাঁচ দিন রোজ ৪-৫ হাজার রসগোল্লা বিক্রি হয়েছে। শুকনো মিষ্টির চাহিদাও ব্যাপক। অনেক ক্লাব প্রচুর মিষ্টির প্যাকেটের বরাত দিয়েছিল। দিনভর মিষ্টি তৈরি করেও চাহিদা সম্পূর্ণ মেটানো সম্ভব হয়নি। তবে, চাহিদা মতো ছানা পাওয়া গেলে আরও কয়েক হাজার মিষ্টি বেশি তৈরি করা যেত।”

চিনি-বিহীন বা কম চিনির মিষ্টির চাহিদা অন্য বারের তুলনায় এ বার অনেকটাই বেশি বলে জানান মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। মিষ্টির দোকানের মালিক বাপি ঘোষাল বলেন, “মিষ্টি বিক্রেতাদের বৈঠকে কম চিনির মিষ্টি তৈরির দিকে জোর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই প্রায় সমস্ত মিষ্টিতেই চিনির ব্যবহার কমিয়েছি আমরা। সন্দেশ বা দুধপাকের মতো মিষ্টিতেও (যা তৈরি করতে বেশি পরিমাণ চিনির প্রয়োজন ) এ বার অনেক কম চিনি ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি সুগার ফ্রি মিষ্টি তো আছেই। এ বার ক্রেতাদের মধ্যে এই ধরনের মিষ্টি কেনার প্রবণতাও বেশি।”

শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও মিষ্টি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে পুজোর দিনগুলিতে। তবে, দশমীতে বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে আগের তিন দিনের বিক্রিকে। মিষ্টির পাশাপাশি, গ্রামের দোকানগুলিতে প্রচুর নাড়ু বিক্রি হয়েছে৷ দুবরাজপুরের পছিয়াড়া গ্রামের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী গদাধর পাল বলেন, “ দশমী থেকে নাড়ুর চাহিদা বাড়ে। একাদশীর দিনেই সাত কুইন্টাল নাড়ু বানিয়েছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bijaya Dashami

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}