চুরমার ট্রাক। নিজস্ব চিত্র
বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে পাত্রসায়রের বর্ধমান-বাঁকুড়া রাস্তায়। এ বার দুই ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই ট্রাকেরই চালকের। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পাত্রসায়র থানার রসুলপুর ও ডাকবাংলোর মাঝামাঝি সেকেন্দারচক এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ট্রাক চালকদের মধ্যে এক জনের নাম বেণু গারু (৩৪)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। আর এক জন হলেন সোনামুখীর আনন্দ রায় (৩৫)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সঞ্জয় রায় নামে একটি ট্রাকের খালাসি। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি বালিবোঝাই ট্রাক সোনামুখী থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। অন্য দিকে, একটি খালি ট্রাক বর্ধমানের দিক থেকে বাঁকুড়ার মুখে যাচ্ছিল। সেকেন্দার চকের কাছে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দু’টি ট্রাকের। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই ট্রাকের চালক। পাত্রসায়র থানার পুলিশ দেহ দু’টি বের করে আনে। আহত খালাসিকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পরে এ দিন ওই এলাকায় কেন বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে চর্চা চলে। এলাকাবাসীরা জানান, মাসখানেক আগে কাঁটাদিঘি মিশনের কাছে গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহী মারা যান। তারও মাস দুই আগে সেকেন্দার চকের কাছে এক মোটরবাইক আরোহী গাড়ির ধাক্কায় মারা যান। মাঝে মধ্যেইই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে ওই এলাকায়।
হঠাৎ করে কেন দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে ওই এলাকা? সেকেন্দারচকের মানিক মিদ্যা বলেন, ‘‘এমন কোনও মাস যায় না দুর্ঘটনা ঘটছে না! রাস্তা ভাল হওয়ায় গাড়ির গতি ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেপরোয়া গাড়ি চালানো। এখনই এই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রোড ব্যারিয়ার বসানো উচিত।’’ ইদিলচকের শেখ রফিকের দাবি, ‘‘রাতের দিকে অনেকেই নেশা করে গাড়ি চালান। সে কারণে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ঝোঁক খুব বেড়েছে। প্রশাসনের উচিত এখনই ব্যবস্থা নেওয়া।’’
পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ-ও স্বীকার করেন, ‘‘রসুলপুর থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যে একের পরে এক দুর্ঘটনা ঘটায় চিন্তা বেড়েছে। কী করা যায়, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy