Advertisement
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
সিউড়ি জেলা হাসপাতাল

২৪ ঘণ্টাই থাকবেন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ

গত দু’মাসে মোট ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু কমাতে বারবার যখন ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’র উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখন এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

‌বৈঠক চলছে  সিউড়ি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

‌বৈঠক চলছে সিউড়ি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

গত দু’মাসে মোট ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু কমাতে বারবার যখন ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’র উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখন এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

কেন এমনটা হল, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক হয় হাসপাতালে। সেখানে এতগুলি মৃত্যুর কারণের ময়না-তদন্তে উঠে
এল পড়শি ঝাড়খণ্ডের বেহাল স্বাস্থ্যচিত্রের কথা।

কেন?

হাসপাতালে ঘণ্টা দু’য়েকের বৈঠক শেষে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা এলাকার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়রা জানালেন, প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তবে যে ১১ জন প্রসূতি মারা গিয়েছেন, তাঁদের আট জনই পড়শি ঝাড়খণ্ড থেকে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় এসেছিলেন। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও তাঁদের বাঁচাতে পারেননি। সভাধিপতি ও বিধায়কের সংযোজন: প্রসূতি মৃত্যু কমাতে গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং যত্নের প্রয়োজন। সেখানে ঘাটতি ছিল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসূতিদের মৃত্যু হয়েছে হাইপার টেনশনের দরুণ খিঁচুনির কারণে।

প্রশ্ন উঠছে, সিউড়ির এই হাসপাতালে তো আজ থেকে ঝাড়খণ্ডের প্রসূতিরা আসছেন না। তা ছাড়া যে হাসপাতালে বছরে প্রসূতি মৃত্যুর হার আট থেকে দশ, সেখানে দু’মাসেই এত মৃত্যু কেন? তা হলে, কোথাও কী কোনও ঘাটতি ছিল না?

এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতাল সুপার শোভন দে। তবে আড়ালে চিকিৎসকদের একটা অংশ মানছেন, ‘‘যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল ঠিকই। তবে ১১ জনের কাউকেই বাঁচানো যেত না, এমনও নয়।’’ একটি সূত্রের দাবি, জেলা হাসপাতালে ছ’জন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ থাকলেও প্রয়োজনের সময়ে হাসপাতালে ছিলেন না এক জনও। সঠিক যত্ন নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।

এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতালে যেন সর্বক্ষণ স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন। সঙ্কটে থাকা প্রসূতিদের নজরদারিও বাড়ানো হবে। তাতেই আস্থা রাখছেন রোগীর পরিজনেরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Suri Sadar Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy