পাঠভবনের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে ফরেন্সিক দল। নিজস্ব চিত্র।
পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে বৃহস্পতিবার ছাত্রাবাসে এল রাজ্যের ফরেন্সিক দল। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের তদন্তে সব রকম সাহায্য করছি এবং আগামীতেও করব।’’
বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের ফরেন্সিক দল পাঠভবনের উত্তরণ ছাত্রাবাসে পৌঁছে যে কক্ষে ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে। দলের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি এবং বোলপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টরও। প্রায় ঘণ্টা খানেক সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর দলটি ফিরে যায়। পুলিশ সূত্রের দাবি, এই ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ২১ এপ্রিল পাঠভবনের উত্তরণ ছাত্রাবাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অসীম দাসের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চিহ্নিত করা হলেও মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় অসীমকে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন মৃতের বাবা সঞ্জীব দাস।
এরপরই তদন্তে নেমে পাঠভবনের একাধিক শিক্ষক ও পড়ুয়াকে জেরা করে পুলিশ, তবে কোনও নিশ্চিত তথ্য সামনে আসছিল না। এই অবস্থায় বুধবার রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বিশ্বভারতীতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বিশ্বভারতীর একাধিক অধ্যাপক তাঁকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা ঘটনায় সিআইডি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। এরপরই এ দিন সকালে ফরেন্সিক দল এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ভবিষ্যতে আবারও তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে আসতে পারে বলেও জানান এক পুলিশ আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy