পাত পেড়ে। খাতড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
আমন্ত্রণ করে পাত পেড়ে খাওয়ানো হল যাযাবর সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্যদের। সেই সঙ্গে বাইরের কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঠানো হ্যারিকেন, লন্ঠন, চাদর, গামছা, শিশুদের সোয়েটার, তেল, সাবান, শ্যাম্পু, আয়না, চিরুনি ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হিড়বাঁধ ব্লকের পাথরডি, তিলাবনি, শ্যামনগর গ্রাম লাগোয়া ফাঁকা মাঠে প্রায় ১২-১৫ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাচ্ছেন ১৫টি বেদ পরিবার। মোট সদস্য সংখ্যা ১১০ জন। তাঁদের দুর্দশা দেখে এগিয়ে আসেন খাতড়া পাম্প মোড় সংলগ্ন সুভাষপল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দত্ত ও সমাজ কর্মী মুবিবর কাজি।
বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘এক সপ্তাহ আগে তাঁদের ডেরায় গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলাম। এ দিন সকালে দু’টি পিক আপভ্যান ভাড়া করে তাঁদের নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। বাড়ির উঠোনে বসিয়ে সবাইকে খাইয়ে তৃপ্তি পেলাম। পরে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয়।’’
মুবিবর কাজি বলেন, ‘‘সামাজিক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। কিছু সংগঠনের সদস্যেরা এ দিন এসে যাযাবরদের তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রি তুলে দেন।”
আমন্ত্রণ পেয়ে খেয়ে খুশি শুকু বেদ, রাজু বেদ, সুমিত্রা বেদ, সন্তোষী বেদ, রূপা বেদরা। তাঁরা বলেন, ‘‘১২-১৫ বছর এই এলাকায় আছি। কাজ চাইতে গেলে কেউ দেন না। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, আধার, রেশন কার্ড— কিছুই নেই। তাই ভিক্ষা করে সংসার চালাতে হয়। জীবনে কোনও দিন আমন্ত্রণ পাইনি। খিচুড়ি, আলু পোস্ত, বোঁদে, চাটনি, পাপড় তৃপ্তি করে খেলাম।’’
রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘যাযাবর সম্প্রদায়ের পরিবারগুলির সরকারি পরিচয়পত্র না থাকায় তাঁদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব, তাঁদের জন্য যদি কিছু করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy