ছেলে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহা। — নিজস্ব চিত্র।
ছেলে জীবনকৃষ্ণ সাহার ‘অত্যাচারে অতিষ্ঠ’ তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহা। সোমবার ভোরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল (সিবিআই)-এর হাতে তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হতেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জীবনের বাবা বিশ্বনাথ। তাঁর প্রাপ্য লাইসেন্স ঘুষ খেয়ে অন্য জনকে দিয়েছেন ছেলে, এমনই অভিযোগ বিশ্বনাথের। যদিও এ নিয়ে বিশ্বনাথের পুত্র তথা তৃণমূল বিধায়কের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ, তিনি এখন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত।
বীরভূমের সাঁইথিয়ার তালতলা এলাকায় নন্দকিশোরী রাইস মিল নামে একটি চালকল রয়েছে জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথের। তিনি জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ছেলের গ্রেফতারির খবর শুনে বিশ্বনাথের বক্তব্য, ‘‘ওকে গ্রেফতারের কথা শুনে আমার কিছু মনে হয়নি। আমার মনে কোনও দুঃখ নেই। ও আমার ক্ষতি করেছে। ও বুঝবে। আমি ওই সব ব্যাপারে ঢুকব না।’’ বিশ্বনাথের বক্তব্য, ‘‘ও বিধায়ক হয়েছে এবং কী ভাবে বিধায়ক হয়েছে, তা আমাকে জানায়নি।’’ ছেলে জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বিশ্বনাথের অভিযোগ, ‘‘ও আমাকে অসম্মান করে সব সময়। আমার ব্যবসায় ও সমস্যা সৃষ্টি করে। গোডাউনে গাড়ি লাগাতে দেয় না। আমার গোডাউন দখল করে অফিস করেছে। ও গ্রেফতার না হলে আমাকে অত্যাচারে টিকতে দিত না।’’
ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিশ্বনাথের মন্তব্য, ‘‘ওর কাছে লোক আসত দেখতাম। কিন্তু আমার মুখ খোলার উপায় ছিল না। কারণ, এই ১০ দিন আগেও ও বলেছে, ‘তোকে হাজতে ভরে দেব।’ আমরা কিছু বলতে পারি না। কারণ ও ক্ষমতায় আছে। আমাকে সহ্য করে চলতে হয়।’’
জীবনকৃষ্ণের বাবার আরও অভিযোগ, ‘‘আমি আমার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের নামে পার্টনারশিপে ব্যবসা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ও কমিশনারকে ফোন করে আমার আবেদন বাতিল করে দেয়। ও আমাকে গালাগালি করে। আমি মিড-ডে মিলের লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিলাম। সিরিয়ালে এক নম্বরে নাম ছিল। কিন্তু সেই লাইসেন্স ও অন্য জনের কাছে টাকা খেয়ে তাকে দিয়ে দিল। আমার ব্যাপারেই তো ঘুষ খাচ্ছে, তো কী বলব!’’
সাঁইথিয়ায় গত চার দশক ধরে চালকলের ব্যবসা বিশ্বনাথের। ছেলের গ্রেফতারের পর তাঁর এ হেন মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy