স্ত্রী বাইরে গেলে ১৬ দিনের কন্যাসন্তানকে আশ্বিনাথ খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
একবালপুর খুন-কাণ্ডের ছায়া যেন দেখা গেল বাঁকুড়ার ছাতনায়। সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ছাতনার এক বাসিন্দাকে। অভিযোগ, পর পর দু’টি মেয়ের জন্মানোয় অখুশি ছিলেন তিনি। সে কারণেই জন্মের ১৬ দিনের মাথায় নিজের কন্যাসন্তানকে নৃশংস ভাবে খুন করে ধানজমিতে পুঁতে দেন আশ্বিনাথ সোরেন। ওই দেহটি উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ছাতনা থানার পুলিশ।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে পুরুলিয়ার ভাতুইকেন্দ গ্রামের সোহাগি সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ছাতনার তুলসা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষিজীবী আশ্বিনাথের। বিয়ের এক বছরের মাথায় কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোহাগি। সম্প্রতি ফের মেয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, দ্বিতীয় বারও মেয়ে হওয়ায় তা নিয়ে অশান্তি শুরু হয় আশ্বিনাথ এবং সোহাগির সংসারে। দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর থেকেই তা নিয়ে আশ্বিনাথ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহাগির উপর অত্যাচার শুরু করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গৃহস্থালির কাজে সোহাগি বাড়ির বাইরে গেলে তাঁদের ১৬ দিনের কন্যাসন্তানকে আশ্বিনাথ খুন করেন বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন সোহাগি। সেখানেই স্বামীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মেয়েকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আশ্বিনাথকে গ্রেফতার করে ছাতনা থানার পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আশ্বিনাথকে জেরা করতেই মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। মেয়ের দেহ কোথায় পুঁতে রেখেছেন, তা-ও জানিয়ে দেন বলে দাবি পুলিশের। বুধবার দুপুরে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান তদন্তকারীরা। তুলসা গ্রামের অদূরে একটি ধানজমির মধ্যে থেকে আশ্বিনাথের দ্বিতীয় মেয়ের প্লাস্টিকে মোড়া দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সদ্যোজাতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। মেয়ে হওয়ার জন্যই কন্যাসন্তানকে খুন করেন বলে দক্ষিণ বন্দর এলাকার বাসিন্দা লাভলি সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy