Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Agriculture

পোর্টালেই আবেদন শস্যবিমার

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই ওই ‘পোর্টাল’ চালু হয়ে যাবে।

ছড়ানো হচ্ছে বীজধান। বাঁকুড়ার শঙ্করহাটি গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

ছড়ানো হচ্ছে বীজধান। বাঁকুড়ার শঙ্করহাটি গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৪:৩০
Share: Save:

দফতরে গিয়ে নয়, শস্যবিমার আবেদন করতে হবে বিশেষ ‘পোর্টাল’-এ। নতুন এই নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই ওই ‘পোর্টাল’ চালু হয়ে যাবে। তার পরেই ওই ‘পোর্টাল’-এর মাধ্যমে শস্যবিমার আবেদন করতে পারবেন চাষিরা। যদিও বিরোধীদের দাবি, কেবল ‘পোর্টাল’-এ আবেদনের ব্যবস্থা করলে হয়রানির শিকার হবেন চাষিরা। তাই যাতে কৃষি দফতরে গিয়ে বিমার জন্য আবেদন করা যায়, সে পদ্ধতিও চালু রাখার দাবি উঠছে।

এ বার শস্যবিমার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাঁকুড়ার উপ-কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র জানান, যে সমস্ত চাষিরা আগেই শস্যবিমার আওতায় রয়েছেন বা ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের উপভোক্তা, তাঁরা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই শস্যবিমার আওতায় চলে আসবেন। এ জন্য তাঁদের আর নতুন করে বিমার আওতায় আসার জন্য আবেদন করতে হবে না।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৫২৮ জন চাষি ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ও ২ লক্ষ ৭৫ হাজার চাষি শস্যবিমার আওতায় রয়েছেন। শস্যবিমা ও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নেই, এমন চাষির সংখ্যা বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ১ লক্ষ। তাঁদের নতুন করে বিমার আওতায় আনা কৃষি দফতরের মূল লক্ষ্য। সুশান্তবাবু বলেন, “জেলার অধিকাংশ চাষি কৃষকবন্ধু ও শস্যবিমার আওতায় রয়েছেন। তাঁদের নতুন করে বিমার জন্য আবেদন করার দরকার নেই। বাকি প্রায় এক লক্ষ চাষিকে আমরা শস্যবিমার আওতায় নতুন করে আনতে উদ্যোগী হয়েছি।’’

এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন: “এ বার শস্যবিমার জন্য আর ব্লক কৃষি দফতরে যাওয়ার দরকার নেই। রাজ্য সরকার বিশেষ ‘পোর্টাল’ চালু করছে। তাতেই অনলাইনে বিমার জন্য আবেদন করতে হবে চাষিদের।”

এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ‘সারা ভারত কৃষকসভা’-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায়ের মতে, “করোনায় কাজ হারানো শ্রমিকদের সুবিধা দিতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও অনলাইনে আবেদন করতে হচ্ছিল। বাস্তবে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষই পোর্টাল খুলতেই পারেননি। কৃষি বিমার ক্ষেত্রেও যে এমন হবে না, তার কি নিশ্চয়তা রয়েছে?’’ তাঁর দাবি, মানুষের হয়রানি এড়াতে ‘পোর্টাল’-এর পাশাপাশি দফতরে গিয়ে আবেদন করার প্রক্রিয়াও চালু রাখা হোক।

যদিও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যালের যুক্তি, “দফতরে গিয়ে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়াতেই অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বহু কৃষক পরিবারেই স্মার্টফোন রয়েছে। তাঁরা চাইলেই বাড়ি থেকে অথবা এলাকার কোনও সাইবার ক্যাফে বা সহজ তথ্যমিত্র কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন। দরকার পড়লে শিবির করে আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হতে পারে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Agriculture
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy