সেই পোর্টাল। নিজস্ব চিত্র
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির দিনক্ষণ এ বার চাষি নিজেই ঠিক করতে পারবেন। সদ্য প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নয়া পদ্ধতির কথা জানিয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর। তাদের পোর্টালে ইতিমধ্যে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে (procurement.wbfood.in)। সেখানে চাষিরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ ধাপে ধাপে কিছু তথ্য দিয়ে জেলা ও পছন্দমতো ধান্যক্রয় কেন্দ্র চিহ্নিত করে বিক্রির দিনক্ষণ ঠিক করতে পারবেন। যদিও অনলাইন পরিষেবায় অনভ্যস্ত রাজ্যের কত শতাংশ চাষি এতে উপকৃত হবেন, তা নিয়ে সংশয়ে বিরোধীরা।
রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “এত দিন ধান বিক্রির দিনক্ষণ জানতে ধান্যক্রয় কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হত চাষিদের। নতুন পদ্ধতিতে বাড়িতে বসেই বা স্থানীয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেই চাষিরা ইচ্ছে মতো ধান বিক্রির দিন ঠিক করতে পারবেন।”
রাজ্য খাদ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “কয়েক মাস আগে পরীক্ষামূলক ভাবে নয়া প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছিল। আসন্ন ধান কেনার মরসুমে সেটি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পাশাপাশি, ধান্যক্রয় কেন্দ্রেও দিনক্ষণ ঠিক করা যাবে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের অনলাইনে ধান বিক্রির দিনক্ষণ ঠিক করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে সরকার খরিফের ধান কেনা শুরু করবে।
যদিও কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদারের দাবি, ‘‘কৃষকদের বড় অংশের হাতেই স্মার্ট ফোন নেই। তার উপরে খাদ্য দফতরের জরুরি পোর্টালগুলি প্রায়ই অকেজো থাকে। সরকার বরং এলাকায় গিয়ে ধান কেনার পরিকল্পনা নিলে চাষিদের উপকার হত।’’ যদিও তৃণমূল কিসান খেতমজুর সেলের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসুর দাবি, ‘‘চাষিদের প্রতিটি ঘরে এখন স্মার্টফোন। ধান বিক্রির দিনক্ষণ ঠিক করতে চাষিদের যাতে সমস্যা না হয়, তা আমাদের সংগঠনের কর্মীদের দেখতে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy