বন্দুক এবং বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার। —ছবি: সংগৃহীত।
আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা তৈরির মশলা লুকিয়ে রাখার অভিযোগে চার জন গ্রেফতার। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রামের ঘটনা। সেখানকার সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ আরও দু’জনের বাড়ির গোপন জায়গা থেকে তিনটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকের পাশাপাশি তাঁদের বাড়ি থেকে বোমা তৈরির মশলাও উদ্ধার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুবরাজপুরের খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে কয়েক দিন আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র এবং তাজা বোমা। তদন্তে নেমে আবার সেই গ্রাম থেকে বন্দুক এবং বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে একটি একনলা দেশি বন্দুক, দু’টি দু’নলা দেশি বন্দুক এবং প্রায় এক কেজি বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে শেখ আজমের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ শেখ আজম-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদেরকে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক শেখ আজমকে জেল হেফাজত এবং বাকি চার জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হলে দু’জনকেই চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, তাঁদের বাড়ির গোপন জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা তৈরির মশলা মজুত রয়েছে। তা জানার পরেই দুবরাজপুর থানার পুলিশ সেই জায়গাগুলিতে হানা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ রাজু ও মীর বজায় ওরফে ভন্টুর বাড়ির চত্বরের গোপন জায়গা থেকে দু’টি দু’নলা দেশি বন্দুক এবং শেখ নজাই ওরফে নজরুলের বাড়ির চত্বর থেকে একটি একনলা দেশি বন্দুক উদ্ধার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকা চার জনকে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। শেখ রাজু এবং ভন্টুকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি দু’জনকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy