দুয়ারসিনি-গালুডি রাস্তায়। ডান দিকে, অসুস্থ সেই শাবক। নিজস্ব চিত্র।
অসুস্থ শাবককে নিয়ে রাস্তার পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দু’টি হাতি। খবর চাউর হতেই তাদের দেখতে ভিড় জমান বাসিন্দারা। এ দিকে এত মানুষের ভিড় দেখে অতিষ্ঠ হাতিরা তেড়ে আসতেই ছোটাছুটি শুরু হয়। রবিবার সকাল থেকে দুয়ারসিনি-গালুডি রাজ্য সড়কের আসনপানি ও দুমকাকোচা গ্রামের রাস্তার উপর এমনই চিত্র দেখা গেল। সন্ধ্যার দিকে সুযোগ বুঝে হস্তি শাবককে উদ্ধার করেন ঝাড়খণ্ডের গালুডি রেঞ্জের বনকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের দিক থেকে আমবেড়া হয়ে বান্দোয়ানের দুয়াসিনির আসনপানি সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ড পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডি থানার দুমকাকোচাতে ঢুকে পড়ে একটি শাবক-সহ সাতটি হাতির একটি দল। চারটি হাতি পাশের গভীর জঙ্গলে চলে গেলেও অসুস্থ শাবককে নিয়ে দুয়ারসিনি-গালুডি রাস্তার পাশের ছোট জঙ্গলে আশ্রয় নেয় দু’টি পূর্ণ বয়স্ক হাতি। সূত্রের খবর, সাতগুড়ুম নদীর জলে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয় শাবকটি।
সকালের দিকে ঝাড়খণ্ডে আনাজ নিয়ে যাওয়ার পথে হাতির মুখে পড়েন বান্দোয়ান এলাকার কয়েক জন চাষি। বাইক, সাইকেল, সবজি ফেলে পালিয়ে বাঁচেন সকলে। তাঁদের মধ্যে বান্দোয়ানের বুড়িঝোর গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর হেমব্রম বলেন, “আনাজ নিয়ে কয়েক জন বাইকে করে যাচ্ছিলাম। দুয়ারসিনি পেরিয়ে দুমকাকোচা গ্রামের কাছে জঙ্গল থেকে আচমকা রাস্তায় উঠে আসে দু’টি হাতি। বাইক, আনাজ ফেলেই কোনও রকমে পালিয়ে আসি। আমার কাকু বজ্রেশ্বর হেমব্রম ও ভাই সনাতন হেমব্রমের বাইকে ভাঙচুর চালায় হাতিরা।”
বেলা বাড়তেই হাতিদের আশেপাশে ভিড়ও বাড়ে। তাতে আরও খেপে যায় হাতি দু’টি। এই গোলমালে দীর্ঘ ক্ষন বন্ধ থাকে ওই রাস্তার যান চলাচল। নরসিংপুরের বাসিন্দা রাজীব কালিন্দী বলেন, “কাজে বান্দোয়ান এসেছিলাম। ফেরার পথে হাতির মুখে পড়ি। মানুষ দেখে তেড়ে আসছিল।”
বড় হাতি দু’টি যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে তাই আসনপানি গ্রামের কাছে অতিরিক্ত বনকর্মী মোতায়েন করা হয় বান্দোয়ান ২ রেঞ্জের তরফে। এর মধ্যে সন্ধ্যা ছ’টার পরে সুযোগ বুঝে হস্তি শাবককে উদ্ধার করে জামশেদপুর পশু হাসপাতালে নিয়ে যান ঝাড়খণ্ডের গালুডি রেঞ্জের কর্মীরা। শাবককে নিয়ে যাওয়ার আগে গালুডি রেঞ্জের এক আধিকারিক বলেন, “বাচ্চাটি হাঁটতে পারছে না।” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী দুমকাকোচার পাশের জঙ্গলেই রয়েছে বড় হাতি দু’টি। গ্রামবাসীদের সতর্ক করে চারদিকে মশাল জ্বালিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy