প্রতীকী ছবি।
আড়ম্বর কিছুটা কমলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই হবে দুর্গাপুজো জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। এই সুযোগে পুজোকে সামনে রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধির সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় বিজেপি এবং তৃণমূল কেউই। পুজোয় দুই রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি।
সামনেই বিধানসভা ভোট। আর তার আগে জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্য দুই রাজনৈতিক দলই একাধিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, পুজোর সময় প্রত্যেক পুজো কমিটির কাছে পৌঁছবেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা এবং তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাবেন। তাছাড়া পুজোর সময় অনেক পুজো মণ্ডপে বিজেপির স্টল থাকবে। ব্যানার টাঙানো হবে। জেলার বিজেপি নেতাদের দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে তাঁদের কাছে লিফলেট পাঠানো হয়েছে। ওই লিফলেটে কৃষি বিল কী, সেটি কী ভাবে কৃষকদের সহায়তা করবে সেই সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সরকার মানুষের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, কেন্দ্রের কোন কোন প্রকল্প রাজ্য নিজের বলে দাবি করছে সেগুলির উল্লেখ করা হবে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের নানা কাজকর্মের ত্রুটি উল্লেখ করে লিফলেট বিলি করা হবে পুজো মণ্ডপের স্টল থেকে। যে সমস্ত পুজো মণ্ডপে স্টল থাকবে না সেখানে তাঁদের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে ওই লিফলেট বিলি করবেন। এমনকি পুজো কমিটিগুলির কোনও সমস্যা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও বলা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক এলাকার স্থানীয় নেতাদের বলেছি পুজো কমিটির সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদেরকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তাছাড়া গ্রামের দিকে আমরা মাস্কও বিলি করব।’’
অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য প্রচুর সংখ্যক কার্ড ছাপানো হয়েছে। তৃণমূলের সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ কয়েক হাজার কার্ড ছাপিয়েছেন। তাছাড়া করোনা প্রচারের বার্তা নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। যেখানে মাস্ক, স্যানিটাইজরের প্রয়োজন সেখানে সেটি বিলি করা হবে। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপে ক্যাম্প করা হবে। তৃণমূলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ উৎসব থাকুক, উৎসবে আনন্দও থাকুক। কিন্তু উৎসব পালন করতে গিয়ে মানুষ অতিমারির কবলে যেন না পড়েন সেই জন্য আমাদের দলের তরফে প্রচার করা হবে।’’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পুজো কমিটিগুলিকে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরে পুজো কমিটিগুলিতে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করছে তৃণমূল। এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলির মাধ্যমে এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হবে বিজেপিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy