নজরদারি: মণ্ডপে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। রামপুরহাটে। নিজস্ব
পুজো উদ্যোক্তারা নিয়ম মেনে মণ্ডপসজ্জা, আলোর সাজ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা করছেন কিনা, তা সরেজমিন দেখতে শহরের বড় বাজেটের মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
শনিবার সকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেই বিভিন্ন মণ্ডপে যান রামপুরহাটের মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের রামপুরহাট গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সহকারী বাস্তুকার, রামপুরহাটের দমকল অফিসার ইন-চার্জ, রামপুরহাট থানার আইসি।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এর আগে বিভিন্ন পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলি যথাযথ ভাবে প্রশাসনিক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে কিনা, তা দেখতেই এই পরিদর্শন। কোথাও খামতি থাকলে তা পূরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের রামপুরহাট গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সহকারী বাস্তুকার রবীন্দ্রনাথ আচার্য জানান, পুজোর উদ্যোক্তারা কেউ ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন, কারও চাহিদা ২ কিলোওয়াটের। চাহিদামতো বিদ্যুৎ ব্যবহারের যথাযথ পরিকাঠামো ওই সব পুজো মণ্ডপে রয়েছে কিনা, থাকলেও কী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে, শনিবার সে সব পরীক্ষা করে দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও মণ্ডপের পাশে তোরণ তৈরি করা হলে, সে জন্য কত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়েও পুজো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ-প্রশাসনের এই ভূমিকায় খুশি উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানান, পুজো উদ্বোধনের এখনও ৪-৫ দিন বাকি রয়েছে। তার আগে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মণ্ডপগুলিতে কী কী করার উচিত তার পরামর্শে পুজোর আয়োজনে অনেক সুবিধা হল।
এ নিয়ে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এ বছর গ্রাম থেকে প্রবীণ মানুষদের শহরের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রামপুরহাট দৃষ্টিদীপ শিক্ষা নিকেতনের পড়ুয়াদেরও ঠাকুর দেখাবে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy