—প্রতীকী চিত্র।
এক রোগীর চিকিৎসা নিয়ে বচসার জেরে চিকিৎসককে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। আহত চিকিৎসক তথা কাষ্ঠগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার মৃণাল মণ্ডল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় রামপুরহাট ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) সপ্তর্ষি কীর্তনীয়া রামপুরহাট থানায় এফআইআর করেছেন। একই সঙ্গে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং বিডিও (রামপুরহাট ১)-র কাছে লিখিত ভাবে ঘটনার কথা জানিয়েছেন বিএমওএইচ।
তিনি বলেন, ‘‘কোমরে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সত্বেও এক জন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। কর্তব্যরত নার্সকেও নিগৃহীত করা হয়েছে।’’ বিএমওএইচের দাবি, বেশ কিছু দিন থেকেই কাষ্ঠগড়া হাসপাতালে নিগৃহীত চিকিৎসকের সঙ্গে কিছু গ্রামবাসীর মনোমালিন্য চলছিল। এলাকায় গিয়ে মানুষজনকে বুঝিয়ে তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু, বুধবার রাতের ঘটনা কাষ্ঠগড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় রেখেছে স্বাস্থ্য দফতরকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ কাষ্ঠগড়া গ্রামের বছর আঠারোর এক যুবক কোমরে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। তাঁর সঙ্গে পড়শি-আথ্মীয় মিলে অনেকে ছিলেন। ওই যুবকের দাবি, ‘‘আমাকে প্রথমে এক জন নার্স দেখে একটি ইঞ্জেকশন দেন। চিকিৎসক আমাকে না দেখে আমার সঙ্গে যাওয়া লোকজনের ছবি মোবাইলে তুলতে থাকেন। আত্মীয়েরা চিকিৎসককে আমার চিকিৎসা করার জন্য বলতে থাকলে তিনি চেয়ার তুলে মারতে যান। এতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।’’
বিএমওএইচ-এর দাবি, স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার প্রথমে রোগীর সঙ্গে আসা লোকজনকে হাসপাতালের বাইরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। তাতে কাজ না-হওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে মোবাইলে ছবি তুলে হাসপাতালে কত ভিড় হয়েছে, সেটা দেখাচ্ছিলেন। বিএমওএইচ বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসক মোটেও চেয়ার ছোড়েননি। রোগীর আত্মীয় পরিজন এবং গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁর উপরে চড়াও হওয়ায় চিকিৎসক টেবিলের পিছনে গিয়ে নিজেকে বাঁচান।’’
এ দিকে ঘটনার পরেই কাষ্ঠগড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে, বিএমওএইচ সপ্তর্ষি কীর্তনীয়া। পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিশও। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy