রাস্তার খোঁজে। জেলাশাসক, বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, আলোচনা হয়েছিল আগেই। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রিং-রোডের জন্য এ বার এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির ভিতর শান্তিনিকেতন এবং তার আশপাশের এলাকা কার্যত চষে বেড়ালেন বিশ্বভারতী এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিক ভাবে তিনটি রাস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব স্তরে আলোচনা করে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বীরভূম সফর হয়েছে চলতি মাসের চার তারিখ। পরের দিন প্রশাসনিক বৈঠক শেষে, বিশ্বভারতীর আমন্ত্রনে শান্তিনিকেতনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী এলাকা এবং সম্পদকে রক্ষা করতে, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত। স্বপনবাবুর আবেদনে সাড়া দিয়ে, বিশ্বভারতীকে সব রকমের সহযোগিতা করার কথা ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন মমতা। বীরভূমে জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সব স্তরকে নিয়ে, আমরা এলাকা ঘুরে দেখেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।” বিশ্বভারতী এবং জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতন রাস্তার ওপর যানবাহনের চাপ কমাতে আপাতত তিনটি রিং-রোডের পরিকল্পনা হয়েছে।
জেলাশাসক এ দিন বিডিও অফিসের পিছন দিকের রাস্তা ধরে পিয়ার্সনপল্লি, শিক্ষাভবন হয়ে শ্যামবাটী বাজারের রাস্তা দেখেন। প্রস্তাবিত এবং আলোচিত তিনটি রাস্তার মধ্যে একটি যেমন শ্যামবাটি বাজার থেকে লালবাঁধ হয়ে শিক্ষাভবনের পাস দিয়ে বোলপুর বিডিও অফিস পর্যন্ত যাওয়া যাবে। অন্য রাস্তায় পূর্বপল্লি এলাকা দিয়ে সোজা প্রান্তিক স্টেশন পর্যন্ত। তৃতীয় রাস্তার পরিকল্পনা হচ্ছে মকরমপুর এবং সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন বরাবর প্রান্তিক স্টেশন পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর ভারী যান চলাচল বন্ধ হবে। তিনটি রাস্তার সার্ভে কাজ শেষ হলেই, দ্রুত ব্যবস্থার জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy