বৈঠকের পরে বেরিয়ে আসছেন সভাধিপতি কাজল শেখ, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসকের অভাব, নিকাশি, নিরাপত্তা— কয়েক মাস আগেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে এমন অনেক অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় একই হাল দেখা গেল সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেরও। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল পরিদর্শন করে নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য ১০ মার্চের সময়সীমাও বেঁধে দিলেন তিনি।
এ দিন বিকেলে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল-সহ হাসপাতালের আধিকারিক ও চিকিৎসকেরা। বৈঠকের আগেই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিস্থিতি অন্যদের নিয়ে ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। চিকিৎসকদের রোস্টারও খতিয়ে দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, পরিদর্শনের সময়ে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার হাল দেখে ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। চিকিৎসকদের অনিয়মিত উপস্থিতি বা হাসপাতালে কম সময় দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ১০ মার্চের পরে তিনি আবারও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবেন বলে জানান জেলাশাসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত চিকিৎসকদের উপস্থিতি কম বা কাজের গতি শ্লথ তাঁদের প্রয়োজনে শোকজ়-এর নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চিকিৎসকদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করবেন।
সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলাশাসক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে জেলাশাসক বলেন, “হাসপাতালে প্রতি মাসে কত রোগী আসেন, বহির্বিভাগে কত রোগী আসেন, কত রোগী রেফার করা হয়, রোগীরা ঠিক ভাবে ওষুধ পান কিনা— সবই খতিয়ে দেখলাম। এখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সবাইকে সমস্ত কাজ সঠিক ভাবে করার বার্তা দিলাম। আমরা তার পরে এসে দেখব সবাই ঠিক ভাবে কাজ করলেন কি না। চিকিৎসকদের সঙ্গেও আমরা বৈঠক করব। তাঁরা কতক্ষণ থাকছেন, কাজ করছেন কি না— তাও খতিয়ে দেখা হবে।” হাসপাতালে ফলস সিলিং বা ওয়াল টাইলস খসে পড়ে দুর্ঘটনার বিষয়গুলি নিয়েও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। তিনি জানান, ১০ মার্চের মধ্যে তারাও কাজ শেষ করবে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সিউড়ির পুরপ্রধানকেও মাঝে মাঝে হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলেন জেলাশাসক। তাঁদের হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যায়নে কাজ করার কথাও বলেন তিনি। পুরসভার তরফ থেকে হাসপাতালের ভিতরে আলো, বসার জায়গা ও আচ্ছাদন বানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পুরপ্রধান।
সুপার বলেন, “আমাদের সাফাই কর্মীদের অনেকেই অবসর নিয়েছেন। অনেকে আবার নানা কারণে সমস্ত কাজ করতে পারেন না৷ ফলে, একটা অসুবিধা তো রয়েইছে। তবে জেলাশাসকের নির্দেশ মতো আমরা আমাদের যে কর্মীরা আছেন, তাঁদের নিয়েই আরও ভাল কাজ করার চেষ্টা করব। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনিক সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। উনি যা যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা পালন করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy