হাট কমিটির সদস্য এই দুই ব্যবসায়ীকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। (
সোনাঝুরির হাট কমিটির সদস্যদের কয়েকজনকে মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাটেরই এক ব্যবসায়ী পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হাট কমিটি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর স্বামী ও ছেলেকে আটক করেছে।
পুলিশ ও হাট কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সোনাঝুরির হাটে এক মহিলা শাড়ি বিক্রেতার বসার জায়গা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়, ক্রমে তা হাতাহাতিতে গিয়ে ঠেকে। পর্যটকদের উপস্থিতিতেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে হাট কমিটির সম্পাদক শেখ কউসর, হাট কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে আঘাত করা ও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই শ্রীনিকেতনের বাসিন্দা ওই মহিলা শাড়ি বিক্রেতার স্বামী মাধব ধীবর ও ছেলে তন্ময়ের বিরুদ্ধে। শান্তিনিকেতনের থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই ব্যবসায়ীর স্বামী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে যায়।
হাট কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার মধ্যেই কিছুদিন হল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শান্তিনিকেতনের খোয়াইয়ের হাট বা সোনাঝুরির হাট। পর্যটকেরা আসতে শুরু করায় হাট কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে দোকানের পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরাও। এ দিন খোয়াইয়ের হাট থাকার কারণে শ্রীনিকেতনের ওই মহিলা ব্যবসায়ী শাড়ির পসরা সাজিয়ে হাটে বসতে গেলে হাট কমিটির পক্ষ থেকে আপত্তি করা হয়। কমিটির অভিযোগ, তিনি স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন।
হাট কমিটির তরফে তাঁকে পসরা গুটিয়ে নিয়ে হাটের অন্য জায়গায় বসতে বলা হয়। এর পরেই ওই মহিলার স্বামী ও ছেলে কমিটির সদস্যদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
হাট কমিটির সম্পাদক শেখ কউসর বলেন, “ওই মহিলা হাটে বসার জন্য কোনও রকম অনুমতি নেননি। তার উপর এই পরিস্থিতির কারণে করোনা বিধি মেনে তাঁকে অন্যত্র বসতে বলা হয়, তাতেই ওঁর স্বামী এবং ছেলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে খুনের হুমকি দিতে থাকে ও আমাদেরকে মারধর করতে থাকে। বাধ্য হয়ে পুলিশকে সবটা জানাই।” যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই মহিলা ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। লকডাউনের সময় থেকে আমরা হাটে আসিনি, এরপর এ দিন হাটে বসতে গেলে হাট কমিটির লোকজন আমাদের বসতে বাধা দেয়। আমরা কেবল তার প্রতিবাদ করি। মারধর বা হুমকি দিইনি।”
পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy