জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূলের ‘দ্বন্দ্ব’-এর আবহে শুক্রবার সেখানে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি’-তে এলেন জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। যদিও দলের দ্বন্দ্বের কোনও প্রভাব এ দিন অন্তত প্রকাশ্যে পড়েনি সভাধিপতির উপস্থিতিতে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা। কিন্তু, খয়রাশোলে বিকাশ আসার পরে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, তিনি কি পারবেন গোষ্ঠী-কোন্দল সামাল দিতে? বিশেষ করে সুদীপ্ত যেখানে বুধবারই কোর কমিটি খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ দলের একাধিক হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। বিকাশ জানিয়েছেন, খয়রাশোলে কোনও সমস্যা থেকে থাকলে, সেটা বসে ঠিক করে নেওয়া হবে।
খয়রাশোলের ব্লক সভাপতির বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন অধিকাংশ অঞ্চল সভাপতিরা। দিন কয়েক আগে খয়রাশোল ব্লকের ‘পর্যবেক্ষক’ সুদীপ্ত ঘোষকে সরানোর পরে ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর সঙ্গে অধিকাংশ অঞ্চল সভাপতির ‘দূরত্ব’ সামনে এসেছে। সুদীপ্তকে পর্যবেক্ষক পদে বহাল রাখতে চেয়ে সুব্রত বক্সীকে চিঠিও দিয়েছেন সাত জন অঞ্চল সভাপতি। এমনকি দলের বৈঠক এবং ধর্না সহ একাধিক কর্মসূচিতে অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। এই আবহে সভাধিপতির উপস্থিতিতে অন্তত দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসেনি এ দিনের দলীয় কর্মসূচিতে। খয়রাশোলের পাঁচড়া ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর পাশে উপস্থিত ছিলেন অন্তত ৬টি অঞ্চলের সভাপতি ও বিরোধী শিবিরের বলে চিহ্নিত নেতারা।
বিরোধীদের কটাক্ষ, সভাধিপতির কর্মসূচিতেও অঞ্চল সভাপতিরা হাজির না-থাকলে জনমানসে ভুল বার্তা যেত। তাই তাঁদেরকে এ দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রেও জানা যাচ্ছে, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘টালমাটাল’ খয়রাশোলে এলে পাছে দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হতে হয়, এই আশঙ্কায় সেখানে আসতে কিঞ্চিৎ ইতস্তত করছিলেন বিকাশ নিজেও। দলীয় কর্মসূচিতে যাতে কোন্দলের ছায়া না-পড়ে, তার জন্য ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘আইপ্যাক’ বিষয়টিতে মধ্যস্ততা করেছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুদীপ্তের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেও বুধবার রাতে সুদীপ্ত নিজে ফোন করে অঞ্চল সভাপতিদের অনুরোধ করেন ‘দিদির সুরক্ষা কর্মসূচিতে’ উপস্থিত হতে। তাঁর কথা রাখতেই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অনেকে। সুদীপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, খয়রাশোলের বেশ কয়েক জন অঞ্চল সভাপতি আড়ালে সেকথা মেনে নিয়েছেন। আড়ালে তাঁরা বলছেন, ‘‘আমাদের ইচ্ছে ছিল না আসার। তবে দিদির কর্মসূচি বলে এসেছি।’’
সমস্যা মিটবে বলে বিকাশ আশ্বাস দিলেও সুদীপ্তের ‘ক্ষোভ’ মিটবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে দলেরই একাংশ। ঘনিষ্ঠ মহলে সুদীপ্তের দাবি, গত শুক্রবার কালীঘাটে তিনি উপস্থিতি ছিলেন। কিন্তু, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে সঙ্গে বীরভূমের বাকি নেতাদের বৈঠকের সময় তাঁকে ডাকা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ‘পরিকল্পিত’ ভাবে জেলা কোর কমিটির এক সদস্য ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করানোয় আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ তিনি পাননি বলেও সুদীপ্ত অভিযোগ করেছেন ঘনিষ্ঠমহলে।
সূত্রের খবর, ক’দিন আগে কোর কমিটির এক সদস্যের সঙ্গে সুদীপ্তের বাদানুবাদ হয়। এর পরেই সুদীপ্ত গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
স্বচ্ছতার প্রচারে
সাঁইথিয়া: সাঁইথিয়া পুরসভার উদ্যোগে শহরের স্বনির্ভর দলের সদস্য, পুরপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের নিয়ে স্বচ্ছতার প্রচারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। শুক্রবার বিকেলে সাঁইথিয়ার শশীভূষণ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠান করা হয়। এ দিন ১৬ টি ওয়ার্ড থেকে মিছিল এখানে এসে উপস্থিত হয়। মিছিলের মাধ্যমে শহরবাসীকে স্বচ্ছতার উপরে সচেতন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত, উপ পুরপ্রধান কাজীকামাল হোসেন প্রমুখ। পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে শপথ বাক্য পাঠকরান পুরপ্রধান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy