কিট ফুরিয়ে বুধবার সকালে হঠাৎ থমকে গেল সদর হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটের পরিষেবা। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ওই ইউনিটটি চলে পিপিপি মডেলে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ছা়ড়া জেলার অন্য কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ডায়ালিসিস ইউনিট নেই। ২০১৫ সালের ১৪ অগস্ট এই হাসপাতালে ইউনিটটি চালু হয়। রোগীরা এখানে নিখরচায় পরিষেবা পান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেও পাঁচ জনের ডায়ালিসিস হয়েছে। তার পরেই ইউনিটের কর্মীরা বাকি রোগীদের জানিয়ে দেন, পরিষেবা মিলবে না।
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, পুরুলিয়ার পায়েল হালদার তাঁর বাবার ডায়ালিসিসের জন্য এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই বিভাগে ২৪ ঘণ্টাই পরিষেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। বাবার অবস্থা খুব সঙ্কটজনক। কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’’ ঝালদার মাঠারি-খামার গ্রাম পঞ্চায়েতের খগেন্দ্রনাথ মাহাতো ছেলে দিলীপকে নিয়ে এসেছিলেন। রঘুনাথপুরের নীলডি গ্রামের বাসিন্দা নন্দ বাউরি এসেছিলেন স্ত্রীর ডায়ালিসিসের জন্য। তাঁরা বলেন, ‘‘অনেক দূর থেকে এসেছি। কী করব বুঝতে পারছি না।’’
কিন্তু কিট ফুরিয়ে এলেও কেন আনানোর ব্যবস্থা করা হয়নি?
ইউনিটের টেকনিশিয়ান সন্দীপ পরামানিক এবং রাহুল শান্তিকারিদের দাবি, কিট যে শেষ হয়ে আসছে সে কথা তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছিলেন। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার শিবাশিস দাস অবশ্য বলেন, ‘‘এই ইউনিট স্বাস্থ্য দফতর ও একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে চলে। কিট ওই বেসরকারি সংস্থারই সরবরাহ করার কথা।’’ তাঁর দাবি, কিট ফুরিয়ে আসার খবর আগে থেকে তাঁদের জানানো হয়নি। সুপার বলেন, ‘‘দ্রুত কিট সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy