প্রতীকী ছবি।
আবেদন পত্র পূরণ করতে হলেও অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া থেকে সম্ভবত রেহাই পেতে চলেছেন স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পড়ুয়ারা। শুক্রবার এমনই একটি নোটিশ পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্গত বীরভূমের কলেজগুলি। সরাসরি পরীক্ষা দিতে হবে না বলা না হলেও নোটিশের সারাংশ তেমনটাই বলে জানিয়েছেন জেলার একাধিক কলেজের অধ্যক্ষরা। তাঁরা জানান, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নির্দেশ এসেছিল ২৫ নভেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে ‘ব্লেন্ডেড ওপেন বুক এগজাম’ পদ্ধতিতে। ঠিক যে পদ্ধতিতে অক্টোবরে স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু করোনা আবহে ফের দুই সিমেস্টারের এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে ধন্দ ছিল। তবে শুক্রবার যে নোটিশ এসেছে তাতে স্বস্তি মিলেছে বলে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অনেকেই জানিয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষদের একাংশ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে যে নোটিশ এসেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। মোট ১০০ শতাংশের মধ্যে ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থীদের আভ্যন্তরীন মূল্যায়ণের উপর ভিত্তি করে আর বাকি ৫০ শতাংশ আগের সিমেস্টারের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। অতএব লিখিত পরীক্ষা বা ‘ব্লেন্ডেড ওপেন বুক এগজাম’ দিতে হচ্ছে না। তবে ক্রেডিট বেস চয়েস সিস্টেম চালু হওয়ার পর ফর্ম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সেটা নির্ধারিত সময়েই করতে হবে।
আপাত স্বস্তি হলেও মূল্যায়ণের মাপকাঠি নিয়ে একটা কিন্তু থাকছে কলেজ শিক্ষক পড়ুয়াদের মধ্যে। সেটা হল করোনা আবহে আভ্যন্তরীন মূল্যায়ণ হয়েছে ঠিকই , কিন্তু কলেজ পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সেটা সব পড়ুয়াদের জন্য সমানভাবে হয়নি। দ্বিতীয় কোনও পড়ুয়া আগের সিমেস্টারে কোনও কারণে যদি কম নম্বর পেয়ে থাকেন, এবার তাঁর প্রস্তুতি যথাযথ হওয়া সত্বেও কম নম্বর পাবেন। তাহলে সঠিক মূল্যায়ণ হল না বলেও অনেকের দাবি। দুঃশ্চিন্তা ই কারণেই। তবে, কলেজ শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন পড়ুয়াদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সে বিষয়টি নিশ্চয়ই খেয়াল রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy