ফিরল বিশ্বজিতের দেহ। সোমবার কীর্ণাহারের আলিগ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।
গ্রামে ফিরল কাশ্মীরে মৃত সিআরপিএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ অধিকারীর দেহ। যদিও ওই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের পুলওয়ামাতে কর্মরত বিশ্বজিতের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর কীর্ণাহারের আলিগ্রামের বাড়িতে আসে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
সোমবার সকালে বিশ্বজিতের দেহ আলিগ্রামে পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমান। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে বিশ্বজিৎ সিআরপিএফের ১১০ নম্বর ব্যাটলিয়ানে যোগ দেন। বর্তমানে শ্রীনগরের পুলওয়ামাতে কর্মরত ছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় বিশ্বজিতের বিয়ে হয়েছে বছর ১২ আগে। বছর দশেক ধরে স্ত্রী নবনীতা এবং ছেলে আকাশকে নিয়ে তিনি কাটোয়ায় বাড়ি করে থাকতেন। ছুটিতে যখন আসতেন, তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। একবেলা কাটিয়ে কাটোয়া ফিরে যেতেন। বাবা গৌরাঙ্গ অধিকারী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী।
রবিবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার বাড়ি থেকে মৃত জওয়ানের স্ত্রী এবং ছেলে আলিগ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছন। পরিবারের লোকেরা কেউ কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। স্বামীর শেষযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে নবনীতা কোনওরকমে বলেন, ‘‘স্বামীর অফিস থেকে জানানো হয়েছিল অধিকারী (বিশ্বজিৎ) আর নেই। কিন্তু কী করে ওঁর মৃত্যু হল, তা এখনও আমাদের পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হয়নি।’’
বিশ্বজিতের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন সুবেদার সুরেশ পাসোয়ানের নেতৃত্বে ১১০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের একটি দল। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁরাও কিছু মন্তব্য করেননি। কাটোয়া শ্মশানে ওই জওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বিশ্বজিতের স্থানীয় বন্ধু হরিহর দত্ত, ধনঞ্জয় ঘোষেরা বলেন, ‘‘কাটোয়ায় বাড়ি করে চলে যাওয়ার পরে বিশ্বজিতের সঙ্গে যোগাযোগ কমে এলেও বাড়ি এলে দেখা করে যেত। বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় চাঁদা পাঠিয়ে দিত।’’ বিশ্বজিতের জেঠু রঞ্জিত অধিকারী বলেন, ‘‘কী বলব? সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’’
মৃত জওয়ানের বাড়িতে এসেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দাসকলগ্রাম-কড়েয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy