মনিটরে চোখ কৃশাণুর। পাত্রসায়র —নিজস্ব চিত্র।
চাঁদে নামল চন্দ্রযান। পাত্রসায়রের ডান্না গ্রামে নামল বাঁধভাঙা আনন্দ। খুশিতে মাতলেন আশপাশের গ্রামের মানুষজনও। কারণ চন্দ্রযান ৩-এর সফল অভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানী, ডান্না গ্রামের ভূমিপুত্র কৃশানু নন্দী। এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন ওই কৃষক পরিবারের সন্তান।
হাই স্কুলের শিক্ষক কৃশানুর জামাইবাবু শৌভিক নায়েক বলেন, ‘‘দীর্ঘ সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে। কৃশানু মঙ্গলবার অফিসে গিয়েছে। তারপর থেকে বাড়ির সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। আমরাও এই সময় তাকে বিরক্ত করতে চাইনি। দেশের এই সাফল্যে কৃশানুর পরিশ্রম মিশে থাকায় তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’’
দিদি দেবিকা নায়েক ভাইয়ের উচ্চশিক্ষায় বরাবর নানা ভাবে পাশে থেকেছেন। এ দিন তিনি মনে করান, ছাতনার কমলপুর নেতাজি হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে কৃশানু কলকাতায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিটেক, যাদবপুর থেকে এমটেক করেছেন। পড়া শেষ করার আগেই অবশ্য তিনি ইসরোয় চাকরি পান।
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা দেবিকা বলেন, ‘‘ভাইয়ের ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে অসীম কৌতূহল। সেই টানেই ইসরো-যাত্রা। ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি।’’ তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য কৃশানুর বাবা-মা বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে।
উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিজন, বন্ধুরাও। কৃশানুর স্কুল পাত্রসায়র বামিরা জিডি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ দে বলেন, ‘‘কৃশানুর সাফল্য আমাদের স্কুলের গর্বের মুকুটে একটা পালক জুড়ল।’’
কৃশানুর বন্ধু তথা আইআইটি কানপুরের গবেষক রাহুল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চাঁদের বুকে রোভার প্রজ্ঞানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কৃশানু। এটা আমাদের সকলের কাছে গর্বের মুহূর্ত।’’
পাত্রসায়রের বাসিন্দা কৃশানু ভট্টাচার্য জানান, বাড়িতে এলে কৃশানু তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আওতায় থাকা শিশুদের মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহী করতে নানা তথ্য গল্পোচ্ছলে শোনান। কৃশানুর ছেলেবেলার বন্ধু ব্যাঙ্ক কর্মী দিব্যেন্দু দাস বলেন, ‘‘কৃশানু চন্দ্রযান ২-তে ছিল না। কিন্তু চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে তার হাত রয়েছে। এটা কি আমাদের কাছে কম গর্বের!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy