প্রতীকী ছবি।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে নবান্নে রিপোর্ট পাঠাল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বুধবারের কালবৈশাখী এবং ‘আমপান’— দুই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মিলিয়ে ২০ কোটির বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার ‘কোভিড’ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংক্রান্ত জেলাভিত্তিক ‘টাস্ক ফোর্স’-এর প্রথম বৈঠক হয়। তার পরেই রিপোর্ট যায়।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক জেলাভিত্তিক দু’টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংক্রান্ত। অন্যটি কোভিড মোকাবিলা সংক্রান্ত।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসকই দুটি ‘টাস্ক ফোর্স’-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন। এ ছাড়া, থাকছেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার পুলিশসুপার এস সেলভামুরুগন, চার জন অতিরিক্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বুধবারের কালবৈশাখী ও ‘আমপান’ ঘূর্ণিঝড়ে জেলা জুড়ে ২০ কোটি ৭৫ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এই বিপর্যয়ে ১৪টি ব্লক ও একটি পুরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ১৪৯টি। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৫,৯৫৭ জন। ১,২৫৭টি কাঁচা বাড়ি আংশিক ও ৩৭টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি চাষি। ক্ষতি হয়েছে ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমির চাষের। টাকার অঙ্কে চাষে ক্ষতির পরিমাণ ৪ কোটি ৯১ লক্ষের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিনশোর বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে ঝড়ে। এ ছাড়া, বিভিন্ন স্কুলবাড়ি, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের বিভিন্ন পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy