মহম্মদবাজারের ভাঁড়কাটায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে সরকারি পরিষেবা নিতে লাইন। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ব্যাপক সাড়া মিলেছিল প্রথম দিনেই। দ্বিতীয় দিনও ধরা রইল সেই ছবি। বুধবার বীরভূমের ২৫ জায়গায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির হল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে ১২টি প্রকল্পের সুযোগ থাকলেও সব থেকে বেশি ভিড় ছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য। বহু জায়গায় বিকেল পর্যন্ত শিবির চালু ছিল। মহম্মদবাজারের মতো কিছু এলাকায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ছাড়াও জবকার্ডের জন্য আবেদন জমা পড়েছে।
এ দিন রামপুরহাট ২ ব্লকের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর তিনটে পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদন বলে খবর।
রামপুরহাট পুরসভার দুই এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই কর্মসূচি হয়। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে যান রামপুরহাটের মহকুমাশাসক জগন্নাথ বর। সেখানেও দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি আবেদন জমা পড়ে। ৯০ শতাংশ ছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদন। রামপুরহাট ১ ব্লকের কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতেও ওই কর্মসূচি হয়। এ ছাড়া দুবরাজপুর, সিউড়ি ১, সিউড়ি ২, মহম্মদবাজার, নলহাটি সহ জেলার ২৫টি জায়গায় শিবির হয়।
দুবরাজপুর পুর এলাকা এবং ওই ব্লকের পারুলিয়ার শিবিরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই দুই শিবির পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সব্যসাচী সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর পুর এলাকার শিবিরে আরও লোক বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। বিডিও (দুবরাজপুর) অনিরুদ্ধ রায় বলছেন, ‘‘মঙ্গলবার প্রায় ৩৮০টি অনলাইন এবং ১৮০টি অফলাইন আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত।’’ সিউড়ি ১ ব্লকের মল্লিকপুরে এ দিন শিবির হয়।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ১১৮টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে ৪৬টি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদন ছিল। এই পরিসংখ্যান জেলার অন্যান্য জায়গার থেকে কম বলে মনে হলেও বিডিও (সিউড়ি ১) শিবাশিস সরকার বলছেন, ‘‘মল্লিকপুরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদনই বেশি পড়েছে।’’
মহম্মদবাজারের ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল চারটে পর্যন্ত ভিড় ছিল। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় জবকার্ডের আবেদন পড়েছে সব থেকে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদন। পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রিয়া কোনাই বলছেন, ‘‘আগে থেকে প্রচার চালানো হয়েছিল। বহু মানুষ এসেছিলেন। প্রত্যেকে সমস্যার কথাও জানিয়েছেন।’’
নলহাটি ২ ব্লকের বারা ১ পঞ্চায়েতে আবার শিবিরে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি বলে অভিযোগ। মাস্ক ছাড়াও অনেককে দেখা যায় পঞ্চায়েত চত্বরে। বিডিও (নলহাটি ২) হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, ‘‘দুপুরে দিকে উপভোক্তার সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছু সময়ের জন্য ভিড় হয়ে গিয়েছিল। পাঁচশোরও বেশি মানুষ আবেদন করেছেন। পরের দিন থেকে আরও বেশি প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy