Advertisement
২১ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

প্রশাসনের খাবার ফিরিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা

প্রশাসন সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে নলহাটি থানার নাকপুর চেকপোস্টের কাছে ওই শ্রমিকদের আটকানো হয়।

আশ্বাস: শ্রমিকদের খাওয়ার অনুরোধ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

আশ্বাস: শ্রমিকদের খাওয়ার অনুরোধ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫১
Share: Save:

কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে, তবু বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়নি। ১৪ দিন পরেও বাড়ি ফিরতে না পারার অভিযোগে প্রশাসনের দেওয়া খাবার খেতে অস্বীকার করলেন করলেন ৫৫ জন শ্রমিক। পুলিশ-প্রশাসনের বোঝানোর পরেও সোমবার সকাল থেকে কোনও খাবারই তাঁরা মুখে তুলছেন না।

প্রশাসন সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে নলহাটি থানার নাকপুর চেকপোস্টের কাছে ওই শ্রমিকদের আটকানো হয়। তাঁদের লোহাপুর নিচুবাজারে জেলা পরিষদের ঘরে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে রাখা হয়। ওই শ্রমিকদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলায়। দু’জন ঝাড়খণ্ডের। সোমবার তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসে চাপিয়ে ফের নামিয়ে দেওয়া হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হন শ্রমিকেরা। তার পর থেকেই সরকারি খাবার ‘বয়কট’ করেন তাঁরা। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।

মালদগের শ্রমিক আতিকুর রহমান, শহিদুল শেখরা বলেন, “আমাদের ১৪ দিন থাকার পেরিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ দিন হল। বাসে চেপে যাওয়ার পরে আমাদের ফের এখানে নিয়ে আসা হয়। তার প্রতিবাদে আমরা ৫৫ জন প্রশাসনের কোনও খাবার খাব না বলে স্থির করেছি। যত দিন না সরকারের তরফে আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে, ততদিন আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে।’’ তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘আমাদের পরিবার ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না। এই সময় ওদের পাশে না থাকলে ওরাই না খেয়ে মরে যাবে! আমাদের উপার্জনের উপরেই পরিবার নির্ভরশীল।’’

বিডিও (নলহাটি ২) হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, ‘‘লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত কার্যকর হওয়ায় এই মুহূর্তে অন্য জেলায় কাউকে সরকারি নির্দেশ ছাড়া পাঠানো যাবে না। তাই ওই শ্রমিকদের বলা হয়েছে, নির্দেশ আসা পর্যন্ত কিছু দিন অপেক্ষা করতে। সরকারি খাবার গ্রহণ করার জন্যও তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই শ্রমিকেরা বাইরের কেনা খাবার খাচ্ছেন। কোয়রান্টিনে থাকা অবস্থায় কী করে বাইরের খাবার পাচ্ছেন, জানতে চাইলে বিডিও বলেন, ‘‘ওঁদের কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তাই সিভিক কর্মীরা বাইরে থেকে খাওয়ার কিনে এনে দিচ্ছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy