দেশ-কাল: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়ায় পৌঁছল ট্রেন। স্টেশনেই হল স্বাস্থ্যপরীক্ষা। ছবি: সুজিত মাহাতো
বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন মঙ্গলবার মধ্যরাত্রে এসে পৌঁছয় পুরুলিয়া স্টেশনে। বুধবার ভোর হওয়ার আগেই বাসে চাপিয়ে তাঁদের নিজেদের জেলার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। ট্রেনে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী ছিলেন। রাত ১টা নাগাদ পুরুলিয়া স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর কথা থাকলেও, সেটি আসে রাত ২টো ৪২ মিনিট নাগাদ। গন্তব্যস্থল নিউ জলাপাইগুড়ি হলেও ট্রেনটিকে পুরুলিয়াতেই থামানো হয়।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে পুরুলিয়াকে ‘ট্রানজ়িট সেন্টার’ করা হয়েছে। তাই এখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।”
ট্রেনে প্রায় হাজার দেড়েক পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। জেলা প্রশাসনের কাছে সেই খবর আগেই দেওয়া হয়েছিল। ওই শ্রমিকদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ কী ভাবে হবে, কোথায় তাঁদের জন্য খাবার ও জল রাখা হবে, কোন দিক দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনের বাইরে বেরোবেন, তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে স্টেশনে গিয়েছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ও পুলিশসুপার এস সেলভামুরুগন।
ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মূহুর্তে ঘোষণা শুরু হয়। একে-একে প্লাটফর্মে নেমে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে বলা হয় যাত্রীদের। গোল দাগ কেটে তাঁদের দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করা ছিল। সেই বৃত্ত ধরে ধরে যাত্রীরা একে-একে এগিয়ে যান।
প্রশাসন ও জেলা পরিষদের তরফে যাত্রীদের জন্য মুড়ি, ছোলা সেদ্ধ, কেক ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্টেশনেই তাঁদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ হয়। তার পরে তাঁরা নিজেদের জেলায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠে পড়েন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট ৫২টি বাস স্টেশন চত্বরে রাখা হয়েছিল। ২১ জেলার ১,৪৩৪ জন শ্রমিককে নিয়ে বাসগুলি গন্তব্যস্থলে রওনা দেয় ভোরে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে ভোর ৫টা হয়ে যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের দুই বাসিন্দাও ওই ট্রেনে ছিলেন। তাঁদের দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নবনির্মিত হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে কোয়রান্টিন-এ রাখা হয়েছে।
সুজয়বাবু বলেন, “পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার ছাড়া, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলার পরিযায়ী শ্রমিক ওই ট্রেনে ছিলেন। তাঁদের নিজের জেলায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলের জন্য কিছু শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম।”
ভোরে শ্রমিকদের নিয়ে বাসগুলি চলে যাওয়ার পরে, স্টেশন চত্বর ও প্ল্যাটফর্ম জীবাণুমুক্ত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy