প্রতীকী ছবি।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। শনিবার রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়া করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় করোনা সন্দেহে মোট ১১২৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৫২৫ জনের। আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়েছে ৬০৪। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মী-সহ রাজনৈতিক দলের কর্মী সহ সকলের সহযোগিতায় করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে হবে।
শীতে করোনা রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে এই আশঙ্কায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর আগামী কয়েক মাস করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোলপুর এবং সিউড়ি এই দুই মহকুমা থেকে প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৩০০ করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার তুলনায় দৈনন্দিন পরীক্ষার পরিমাণ অনেকটাই কম। সম্প্রতি রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় পুজোর পরে পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ৫০০ থেকে ৬০০ পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুযায়ী রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় দৈনিক অ্যান্টিজেন টেস্ট ৫৮০ ও আরটিপিসিআর ৫০০, মোট ১০৮০ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা স্বাস্থ্য ভবনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে পারছিল না।
এর পরেই মপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়। প্রতিটি ব্লককে ১০০টি করে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দেওয়া হয়। রামপুরহাট মেডিক্যালে পরীক্ষার সংখ্যা প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দেওয়া হয়।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অমিতাভ সাহা জানান, পুজোর আগে পুলিশ-প্রশাসন, সাধারণ জনসাধারণ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা যেমন হাতে হাত মিলিয়ে করোনা সন্দেহে পরীক্ষাতে সহযোগিতা করছিলেন, সেই বিষয়টিতে যোগসাজসের অভাবে এবং মানুষের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাবের অভাবে পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। পরে স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা বার দুয়েক জেলায় এসে পরীক্ষা বাড়ানো নিয়ে বৈঠক করেন। জেলাশাসক ও মহকুমাশাসক টেস্ট বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও পরীক্ষা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ করে। সব মিলিয়ে সকলের প্রচেষ্টায় করোনা সন্দেহে পরীক্ষা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো গিয়েছে বলে ডেপুটি সিএমওএইচ জানান। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ-সহ জরুরি বিভাগে পরিষেবা
নিতে আসা রোগীদের মধ্যে পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলে সহজেই স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সুবিধে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy