প্রতীকী ছবি।
জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কতটা বাড়াল মহানবমীর ভিড়, তার হদিস পেতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে, এমনই বলছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে প্রাক-পুজো ও পুজোয় জেলায় সংক্রমণের হার দেখে আপাতত খানিকটা হলেও স্বস্তিতে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, গত কয়েকদিনে জেলায় সংক্রমণের হার ৪.৬ থেকে কমে হয়েছে ৩.৯ শতাংশ। ‘কোভিড প্রোটেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করা হচ্ছে।
পুজোর আগে শহরের যে সমস্ত দোকানে ভিড় হয়, সেই দোকানগুলির কর্মী ও মালিকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল জেলা প্রশাসন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত জানান, করোনা পরীক্ষার কাজ পুজোর মধ্যেও চালু রাখা হয়েছিল। সংক্রমণের হার ততটা উদ্বেগজনক নয়। তবে পুজোর ভিড় কতটা সংক্রমণ ছড়াল, তা জানতে সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে।
আইএমএ-র জেলা সম্পাদক অজিত মুর্মুর কথায়, ‘‘সপ্তমী ও অষ্টমীতে রাস্তাঘাটে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে অন্য বছরের মতো না হলেও নবমীতে যথেষ্ট ভিড় ছিল।’’ চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পরে, লক্ষণ প্রকাশ পেতে কয়েকটা দিন সময় লাগবে। এই অবস্থায় পরীক্ষা বাড়ানো দরকার। সংক্রমিতদের খুঁজে বার করে আলাদা করেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’’ তিনি আরও জানান, জ্বরের রোগী এলে কোভিড পরীক্ষা করানোর বিষয়ে চিকিৎসকদের জোর দেওয়া উচিত। তা ছাড়া, এখনও অনেকের কোভিড পরীক্ষা করানোয় অনীহা আছে। তা থেকে বেরিয়ে যাতে নিজে থেকে মানুষ পরীক্ষা করাতে এগিয়ে আসেন, তার উপরেও জোর দেওয়া দরকার।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে মৃত্যুহার ১.৯ শতাংশ হলেও জেলায় তা ০.৫২ শতাংশ। সুস্থতার হার রাজ্যের কাছাকাছি, ৮৭.৮ শতাংশ। তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকলেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর জানান, জেলায় সংক্রমণের হার কমেছে। পজ়িটিভ কেসের সংখ্যা গড়ে ৫ শতাংশের নীচে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ১,৩০০ থেকে ১,৫০০ পরীক্ষা হচ্ছে। এর পরে পরীক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যভবন যা নির্দেশ দেবে, তা মানা হবে।
জেলার কোভিড হাসপাতালে এই মুহূর্তে শয্যা রয়েছে ৬০টি। আকাঙ্ক্ষা বলেন, ‘‘বর্তমানে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২। তা বাড়িয়ে ৫ থেকে পরে ৮ করা হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্বাস্থ্যভবন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া, শহরের কাছে হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে অক্সিজেনের লাইনের কাজের দরপত্র আহ্বানের কাজের বিষয়টি ‘মেডিক্যাল সার্ভিস কমিশন’ দেখছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ওই ক্যাম্পাসেও রোগী ভর্তি করা যাবে।’’
জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy