Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

টিন ও বাঁশের ‘বাধা’ দরজায়

বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবগঞ্জ গয়লাপাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী। 

বাড়ির দরজা টিন আর বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে—নিজস্ব চিত্র

বাড়ির দরজা টিন আর বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০১:৫৪
Share: Save:

রাঁচী থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে ফেরা এক ব্যক্তির বাড়ির দরজা টিন আর বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবগঞ্জ গয়লাপাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী।

ওই গৃহস্থ রাঁচীতে স্বর্ণকারের কাজ করেন। তিনি জানান, একটি ছোট দোকানে স্বর্ণব্যবসায়ীদের থেকে বরাত নিয়ে কাজ করেন। ‘লকডাউন’-এ ব্যবসা বন্ধ। টাকাকড়ি ফুরিয়ে এসেছিল। ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফেরার উপায় হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাঁচশো টাকায় পুরনো সাইকেল কিনে সোমবার রাতে রওনা হন। মঙ্গলবার রাতটা পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে কাটিয়ে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ বিষ্ণুপুরে পৌঁছন। তাঁর দাবি, সোজা জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ১২টার পরে বাড়ি ঢুকেছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ক্লাবের কিছু লোকজন তাঁর বাড়ির দরজা টিন আর বাঁশ দিয়ে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে এক জন বলেন, ‘‘বাইরে থেকে এলেও, আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু উনি বাড়িতে থাকতে চাইছেন না। বেরিয়ে আসছেন। বাধ্য হয়েই স্থানীয় মানুষজন ক্লাবে মিটিং করে বাড়ির দরজা আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’’ তাঁর দাবি, ফোন নম্বর দিয়ে আসা হয়েছিল। কিছু প্রয়োজন হলে তাঁরাই বাড়িতে জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়ে এসেছেন।

যদিও ঘরে ফেরা ব্যক্তি বাইরে বেরনোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিময় মেনে চলব বলেই অতটা পথ সাইকেল চালিয়েও প্রথমে বাড়ি ঢুকিনি। আগে হাসপাতালে গিয়েছি। আমার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। বাচ্চা আছে। আটকে রেখে দিয়েছে। কেউ এক বার খোঁজও নেয়নি।’’ তিনি জানান, বুধবার রাতে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিল। ঘরেই থাকার নির্দেশ দিয়ে এসেছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন যে নির্দেশ দেবে, তা মেনে চলব। কিন্তু ক্লাবের লোক এ ভাবে
আটকাবে কেন?’’

এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘‘কারা এ কাজ করছে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ ভাবে দরজা বন্ধ করে দেওয়া পুরোপুরি বেআইনি। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy