প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের পাশাপাশি প্রত্যেক করোনা রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় নজর রাখতে বিশেষ পোর্টাল তৈরি করল বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা। প্রতিদিন প্রত্যেক কোভিড রোগী সম্পর্কিত তথ্য ‘আপডেট’ করা হবে ওই পোর্টালে। যেমন, হাসপাতাল, সেফ হোম বা হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের শারীরিক অবস্থা কেমন, চিকিৎসা কী ভাবে চলছে, রোগীদের কোনও সমস্যা দেখা দিলে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হামাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘পোর্টাল তৈরি। এ বার থেকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তারা সেখান থেকে প্রত্যেক রোগীর শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি জানতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবেন।’’
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড পজিটিভ রোগীদের সেফ হোম এবং হোম আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, কোনও আক্রান্তের বাড়িতে আইসোলেশন বা সেফ হোমে থাকাকালীন হঠাৎই প্রবল উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রোগীর শারীরিক অবস্থা কোন পর্যায়ে চলে যায়, আগাম কিছু বলা সম্ভব নয় করোনার ক্ষেত্রে। ফলে প্রত্যেক সংক্রমিতের উপরে নজরদারি চালানো প্রয়োজন আছে। পোর্টালের মাধ্যমে সেই নজরদারি আরও নিবিড় ভাবে করা যাবে।
উপসর্গহীনদের জন্য জেলার তিনটি সেফ হোমে ৪৫০ শয্যা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুসারে বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেটা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও আক্রান্তদের সেরে ওঠার হার প্রশাসনকে স্বস্তিতে রেখেছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন। সেই জন্যই হাসপাতালের পরিবর্তে অধিকাংশ আক্রান্ত যাচ্ছেন সেফ হোম বা আইসোলেশনে। তাঁদের প্রতি নজরদারি বাড়ানোই পোর্টাল তৈরির মূলে।
বুধবার পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় সেফ হোমে ছিলেন ১০৯ জন, হোম আইসোলেশনে ছিলেন ১৪ জন। অন্য দিকে বীরভূম স্বাস্থ্যজেলায় এি সংখ্যাটা যথাক্রমে ১৩ এবং ৮৯ জন। চিকিৎসকদের মত, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মানলে উপসর্গহীন আক্রান্তদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব। যদি আক্রান্তদের বাড়িতে নিজেদের আলাদা ভাবে সরিয়ে রাখার জন্য পৃথক ঘর ও শৌচাগার থাকে। কিন্তু প্রয়োজন পর্যবেক্ষণ।
যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের খোঁজ নিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবারের সদস্য শুশ্রূষাকারী বা ‘কেয়ার গিভার’ হিসেবে থাকছেন। সব তথ্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে প্রতিদিন রিপোর্ট করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছিল। পোর্টাল হওয়ায় কাজে আরও সুবিধা হবে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy