প্রতীকী ছবি
ইলামবাজার, পাড়ুই থানা এলাকায় নতুন করে পাঁচ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গ্রামে তিন যুবকের করোনা সংক্রমণ মিলেছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০ ছাড়াল।
ওই তিন যুবক মাস কয়েক আগে মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন। লকডাউনে সেখানেই আটকে পড়েন। ২৬ মে গাড়ি ভাড়া করে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রামে ফেরেন তিন যুবক। প্রশাসনের তরফে ওই দিনই তিন যুবককে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়। বুধবার রাতে ওই তিন যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের তরফে ওই তিন যুবককে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের সরকারি নিভৃতবাসে পাঠানো হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাটিকে আপাতত কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বাইরে থেকে যাতে ওই গ্রামে কেউ ঢুকতে না পারে এবং প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে কেউ না যেতে পারে, সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার পাড়ুই থানা এলাকার সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গ্রামে সরকারি নিভৃতবাসে থাকা দুই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকও কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন। লকডাউনে সেখানেই আটকে থাকার পরে ওই দুই যুবক একটি গাড়ি ভাড়া করে গ্রামে ফেরেন। তারপর তাঁদের ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি নিভৃতবাসে রাখা হয়। বুধবার রাতে তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ওই দুই যুবককেও বোলপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা নিভৃতবাস কেন্দ্রে থাকা বাকি ৫ জনেরও ফের নতুন করে লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই এলাকাটিকে বৃহস্পতিবার কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বোলপুর-শ্রীনিকেতনের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, ‘‘সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর গ্রামে দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। ওই দুই যুবককে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই এলাকাটিকে আপাতত কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy