Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বাজার উঠল কিসান মান্ডিতে

বিক্রেতাদের যুক্তি ছিল, বেচাকেনা তেমন না হওয়ায় তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল।

কেনাকাটি। নিজস্ব চিত্র

কেনাকাটি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০৩:২৭
Share: Save:

প্রায় তিন বছর পরে ফাঁকাই পড়েছিল কৃষকবাজার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের উদ্যোগে ইলামবাজারের ওই কৃষকবাজারে পুনরায় আনাজ নিয়ে বসলেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার সেই বাজারে ভিড়ও হল ক্রেতাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-‘১৬ অর্থবর্ষে ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয় কৃষকবাজার। সেখানে কৃষকদের বসে ব্যবসা করার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকবাজারটি উদ্বোধনের পর থেকে এক প্রকার ফাঁকাই পড়েছিল। প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্বোধনের পরে কয়েক দিন কৃষকদের বসানো গেলেও তার পর থেকে ক্রেতার অভাবে আর কোনও কৃষককে কৃষকবাজারে বসে বেচাকেনা করতে দেখা যায়নি। বিক্রেতাদের যুক্তি ছিল, বেচাকেনা তেমন না হওয়ায় তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। এর পরে কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগের মতোই ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার দুই ধার দখল করে ব্যবসা করতে শুরু করেন। এর ফলে ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল, দুর্ঘটনাও ঘটছিল মাঝেমধ্যে।

সেই ছবির বদল ঘটাল করোনা-ভীতি। সরকারের তরফ থেকে মানুষকে দূরত্ব বজায় রেখে দোকান-বাজারে যেতে বলা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই রাস্তার দুই ধারে বসা অস্থায়ী বাজারকে এ দিন প্রশাসনের উদ্যোগে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইলামবাজার কৃষকবাজারে। সেখানেই কৃষকদের দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের জিনিসপত্র দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। আনাজ, ফল, মাছ, মাংস মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন বিক্রেতাকে এ দিন বসানো হয় কৃষকবাজারে। আনাজ ব্যবসায়ী জয়দেব রায়, ছোটকা সরকার, জীবন দাসেরা অবশ্য বলছেন, “এর আগে এই কৃষকবাজারে ক্রেতা না পাওয়ায় আমাদের লোকসানের মুখ
দেখতে হয়েছে। আবার একই জিনিস হবে না তো!”

বেচাকেনা না হলে আবার পুরনো জায়গায় ফিরে যাবেন কি? বিক্রেতারা জানান, সেটা সময়ই বলবে। বিডিও (ইলামবাজার) মহম্মদ জসিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, “আপাতত করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, তার জন্য ইলামবাজার বাসস্ট্যান্ডে থাকা অস্থায়ী বাজারটিকে কৃষকবাজারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওখানে যাতে ক্রেতারা যান এবং কৃষকদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে অসুবিধা না হয়, সেই দিকটিও
প্রশাসন দেখবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Kisan Mandi Illambazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy