Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

করোনা-পরীক্ষা হবে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের নিরিখে এখনও পর্যন্ত বীরভূম নিরাপদ ‘গ্রিন জ়োনে’ রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০০
Share: Save:

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হলে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সর্বাগ্রে সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবার সামনের সারিতে থাকা এনএনএম এবং আশাকর্মীদেরও করোনার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জেলায়। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি জানান, যাঁরা পরিষেবা দেবেন, তাঁরা কোনও ভাবে সংক্রামিত হয়ে পড়ছেন কিনা, সেটা জানতে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকার্তার নির্দেশ মেনে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই পরীক্ষা শুরু হবে। ব্লক স্তর থেকে নমুনা সংগ্রহ হবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের নিরিখে এখনও পর্যন্ত বীরভূম নিরাপদ ‘গ্রিন জ়োনে’ রয়েছে। এখনও এক জন রোগীরও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্বিত্ব টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজ্যে যে ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। সম্ভাব্য করোনা রোগী চিহ্নিত করতে

রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত হলে তাঁদের চিকিৎসার জন্য পৃথক কোভিড হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। কিন্তু যাঁদের হাতে চিকিৎসার পরিষেবার ভার, তাঁদের সুরক্ষার প্রশ্নটাই বড়। কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বীরভূমের প্রকৃত ছবিটা জানার জন্য তাই টেস্ট জরুরি।

স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সুবিধা হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেজিক্যাল কলেজে করোনার ‘পুল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা হওয়ায়। বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার সম্ভাব্য করোনা রোগীর লালারসের নমুনা পাঠানো হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক সঙ্গে পাঁচটি করে নমুনার পরীক্ষা সম্ভব। এক সঙ্গে করা সেই টেস্ট নেগেটিভ হলে মিটেই গেল। পজিটিভ হলে প্রতিটি নমুনা পৃথক ভাবে পরীক্ষা করে সেটাও চিহ্নিত করা হবে। দুই স্বাস্থ্য জেলা থেকেই এ বার যথেষ্ট সংখ্যায় নমুনা পাঠানো শুরু হয়েছে। এ বার ধাপে ধাপে নমুনা যাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদেরও।

হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তো বটেই, আশাকর্মী এবং তাঁদের উপরে থাকা এএনএমদের-ও (অগজিলিয়ারি নার্সিং মিডওয়াইফারি) করোনা-পরীক্ষায় আওতায় আনা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ন্যূনতম সুরক্ষা উপকরণ ছাড়া কোনও এলাকায় সর্দি, জ্বরের উপসর্গ থাকা কিংবা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (সারি) শিকার রোগী আছেন কি না, খোঁজ রাখার দায়িত্ব ওই স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। যদিও অভিযোগ, পিপিই দূরে থাক, পর্যাপ্ত মুখোশ-গ্লভসও অধিকাংশ আশাকর্মী বা এএনএম-দের কাছে নেই। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলছেন, ‘‘সংক্রমণ শুরু হলে সামনের সারিতে কাজ করা ওই কর্মীরাও বাদ পড়বেন না। তাই তাঁদের পরীক্ষা জরুরি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Siuri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy