ঝকঝকে সিউড়ি স্টেশন। কিন্তু, ট্রেন চলে হাতেগোনা। ক্ষোভ উসকে তুলে নেওয়া হয়েছে সিউড়ি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
জেলা সদর থেকে ট্রেন তুলে নেওয়ায় তৃণমূলের পরে এ বার প্রতিবাদের পথে হাঁটল কংগ্রেসও। অনেকেই মনে করছেন, ট্রেন বন্ধের বিষয়টি পুরভোটের আগে প্রচারেরও বড় বিষয় হতে চলেছে।
২৯ তারিখ থেকে সিউড়ি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস তুলে নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। তার বদলে ১ তারিখ থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাওড়া থেকে সাঁইথিয়া হয়ে রাধিকাপুর যাচ্ছে। শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে নোটিফিকেশন জারি করে এই খবর জানানো মাত্র তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ট্রেন বন্ধ করে আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছিলেন।
সোমবার জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ট্রেন তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে স্টেশন চত্বরে ধর্নার আয়োজন করা হয়। জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী, সহ সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি মৃণাল বসু সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী ধর্নায় যোগ দেন। সঞ্জয়
অধিকারী বলেন, ‘‘পুরভোটের ইস্যু নয়। আমরা চেয়েছি মানুষের জন্য পথে নামতে। বেশ কিছু দাবি জানিয়েছি। সেগুলি মানা না হলে রেল রোকোর পথে হাঁটব।’’
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিকেলে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বন্ধ করার বদলে সকাল দশটার মধ্যে কলকাতা পৌঁছতে এবং কাজ সেরে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা-ছটার মধ্যে হাওড়া থেকে ছেড়ে সিউড়ি ফেরার ট্রেন চালানো। দূরপাল্লার ট্রেন যেগুলি সিউড়িতে স্টপ দেয় না, সেগুলিকে এই স্টেশনে দাঁড় করানো এবং স্টেশন থেকে দূরে নয় স্টেশনের কাছে টোটো দাঁড় করানোর দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি এ দিন সিউড়ি স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে আসানসোল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে পাঠিয়েছে কংগ্রেস।
জানুয়ারিতে সিউড়ি স্টেশন পরিদর্শনে আসা পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মার কাছে জেলা সদরের বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের দাবি ছিল, জেলা সদরের স্টেশনটিকে সাজতে ব্যবস্থা নিয়েছে রেল। সেটা ভাল কথা। কিন্তু, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করুক রেল। তাঁদের কথায়, ‘‘লোকসানে চলা বিকেলের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসকে প্রয়োজনে সকালে সিউড়ি থেকে হাওড়া এবং সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই দাবি তো পূরণ হলই না, উল্টে একটা ট্রেন কমে করে দিল রেল।’’ উল্লেখ্য, রেলকর্তার সিউড়ি সফরে সিউড়িবাসীর দাবির সপক্ষে বিজেপির দুই নেতা দুধকুমার মণ্ডল, কালোসোনা মণ্ডলেরা সাওয়ার করেছিলেন। তার পরেও ট্রেন উঠে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে বিজেপি।
সাধারণ যাত্রী ও সিউড়ির বাসিন্দাদের উপেক্ষা করে ট্রেন তুলে নেওয়ার জন্য বিজেপি সরকার ও দলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন অনুব্রত। কংগ্রেস দাবি করেছে, তাদের আমলেই ট্রেনগুলি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির নেতারা আড়ালে বলছেন, ‘‘আমরাও চাইছি রেল সকালে কলকাতাগামী আর একটি ট্রেন চালু করুক। তা হলে মান বাঁচে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy