কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকে হেনস্থা। শুক্রবার রাaমপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
মাড়গ্রামে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের আঁচ পড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নেও! মনোয়নপর্বের প্রথম দিনই কংগ্রেসের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি শাজাহান আলিকে হেনস্থা এবং তাঁর মোটরবাইক রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা তৃণমূলের মাড়গ্রাম ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহুবুল আলি ওরফে ভুট্টুর অনুগামী বলে কংগ্রেসের দাবি। নিহতদের এক জন ছিলেন প্রধানের ভাই।
শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট ২ ব্লক অফিস এবং মাড়গ্রাম থানা সংলগ্ন হাতিবাঁধা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। মৌখিক ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মিল্টন রশিদ। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। ঘটনার পরে হাতিবাঁধা মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শাজাহান আলির দাবি,পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এ দিন ব্লক অফিসে সর্বদল বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে হাতিবাঁধা মোড়ে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এখানে কী করছিস। এখানে একটাও মনোনয়ন করা হবে না’।
শাজাহানের অভিযোগ, ‘‘এর পরেই আমার বাইক লাথি মেরে ফেলে দেয় তৃণমূলের লোকজন। আমার জামা ধরে টানাটানি করে, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে।’’ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে বাধা দেওয়া এবং চিত্র সংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে নিউটন শেখ এবং লাল্টু শেখ নামে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। লাল্টু ছিলেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান মহুবুল আলির আলির ভাই। ওই দুই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মাড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন-সহ ১২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় এখনও ৮ জন ফেরার। ওই দুই তৃণমূল কর্মী খুনের পর থেকেই মাড়গ্রামে এখনও চাপা উত্তেজনা আছে কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
কংগ্রেস এবং সিপিএম সমর্থকদের উপরে মহুবুলের অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের ‘রাগ’ আছে বলেও তৃণমূল সূত্রেই খবর। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, সেই আক্রোশের বশেই এ দিন ব্লক সভাপতি শাজাহান আলিকে হেনস্থা করা হয়। মিল্টন রশিদ বলেন, ‘‘পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা যাতে না-ঘটে, তা-ও পুলিশকে দেখথে বলা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, পঞ্চায়েতের প্রধান মহুবুলের দাবি, ‘‘শাজাহানের সঙ্গে থাকা লোকেদের মধ্যে কেউ এক জন তৃণমূলের নামে কিছু খারাপ কথা বলার জন্য দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তার জেরে কথা কাটাকাটি হয়।’’ এ রকম ঘটনা আ ঘটবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy