ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরীক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তোষ ছড়াল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। ৬ জুলাইয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অন্তিম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। অফলাইন, অনলাইন অথবা মিশ্র পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
এই বিজ্ঞপ্তি পড়ুয়াদের পরীক্ষা সংক্রান্ত চলা অনিশ্চয়তাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিল। কেননা, ৩ জুলাই বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষের অন্তিম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের কোনও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ইন্টারনাল পরীক্ষা এবং বিগত সিমেস্টারগুলির প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হবে। সেই মতো পরীক্ষা-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ক’দিন না যেতেই নতুন বিজ্ঞপ্তি সামনে এল।
কলাভবনের শিল্পের ইতিহাস বিভাগের অন্তিম সিমেস্টারের ছাত্র অনিকেত নন্দী থাকেন ত্রিপুরার আগরতলায়। এর আগে যখন বিশ্বভারতী ২৮ জুনের মধ্যে অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে বলে, তখন বেশ বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে ফেরার বন্দোবস্ত করেছিলেন। পরে ক্যাম্পাস খোলা পিছিয়ে যাওয়ায় টাকা খরচই সার হয়। এখন আবার অর্থ ব্যয় করে ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। ভিন্ রাজ্যে কিংবা বিদেশে বসবাসকারী অধিকাংশ পড়ুয়ার অবস্থা একই রকম।
বিদ্যাভবনের অন্তিম বর্ষের বাংলাদেশের এক পড়ুয়া বলেন, “সেপ্টেম্বরের শেষে আদৌ সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত করতে পারব কিনা, সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। নানা উদ্বেগে প্রস্তুতিও ঠিক ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।’’
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিদেশি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবে। এক জন পড়ুয়াও যদি কোনও কারণে পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বাদ যায়, তার জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থাও করবে বিশ্বভারতী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী কী করবে, তা স্থির করতে মঙ্গলবার তিনটের সময় বৈঠক ডাকা হয় বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে। সেখানে এখনই পরীক্ষসূচি না তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়।
এ দিকে, এসএফআই সহ অন্য বাম ছাত্র সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্র-ছাত্রীদের এক হওয়ার ডাক দিয়েছে। অধ্যাপকদের তরফেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে। তবে এবিভিপির বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অপূর্ব শরদ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ এতে পড়ুয়ারা প্রকৃত প্রাপ্য নম্বর পাবেন। তবে এক জন পড়ুয়াও যদি এই পদ্ধতিতে বঞ্চিত হন, এবিভিপি তার পাশে থাকবে।”
অফলাইনে পরীক্ষা হলে সেটা ঝুঁকির বলে মনে করছেন বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। অফলাইনে পরীক্ষা হলে হস্টেল এমনকি পরীক্ষাকেন্দ্রেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy