Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

নির্যাতনের নালিশ, পুড়ে মৃত্যু দুই বধূর

দু’টি পৃথক ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই আশঙ্কানজক অবস্থায় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৮
Share: Save:

দু’টি পৃথক ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই আশঙ্কানজক অবস্থায় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গদাইপাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম পুষ্পা সাউ (১৮)। মারাত্মক জখম অবস্থায় ওই তরুণীকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তরুণীর স্বামী সত্যনারায়ণ সাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তরুণীর বাবা জিতু মাল থাকেন শহরেরই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘জামাই প্রায়ই আমার মেয়েকে মদ্যপ অবস্থায় মারধর করত। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করিনি। রাতে মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসতেই দেখি মেয়ে মারা গিয়েছে। মেয়ের এই মৃত্যু স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।’’ ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনি অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অন্য দিকে, অন্য একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আর এক অগ্নিদগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত পারমিতা লেট (২৩) নামে ওই বধূর বাড়ি নলহাটি থানার ধলাসিন গ্রামে। বধূটিকে মারাত্মক জখম অবস্থায় শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পারমিতার বাপের বাড়ি মাড়গ্রামের মহিল্যাপাড়ায়। পাঁচ বছর আগে নলহাটির ওই গ্রামে পারমিতার বিয়ে হয়েছিল। বধূর বাবা গণেশ লেটের দাবি, ‘‘বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। তারই ফলে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে।’’ শনিবারই থানায় জামাই-সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Burned Torture
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE