বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সুজয়। নিজস্ব চিত্র
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সন্তুষ্ট। কয়লা পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়া পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি, তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার দাবি করলেন, ইডি সন্তুষ্ট হয়ে যে নথি দিয়েছে তা তিনি দলের কাছে জমা দেবেন। নিজেদের স্বচ্ছতাকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধিতায় ঝাঁঝ বাড়াতে দলীয় সহকর্মীদের তিনি একই ভাবে নিজেদের সম্পত্তির নথি জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা করার প্রস্তাব দেবেন বলে জানালেন। যা নিয়ে দলের মধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।
সুজয়কে ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। জেলা প্রশাসনের শীর্ষে থাকার সুবাদে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকবেন জানিয়ে চিঠি দিয়ে ইডির কাছে অন্য দিন চেয়েছিলেন সুজয়। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, ইডির কাছে হাজিরার কোনও তারিখ না পেলেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই তিনি সম্পত্তির যাবতীয় নথি নিয়ে বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ইডির সদর অফিসে তিনি ছিলেন।
গত জুনে বলরামপুরে এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, রঘুনাথপুরের কয়লা মাফিয়ার ডায়েরিতে শান্তিরাম মাহাতো, সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুশান্ত মাহাতোর নাম আছে। দিল্লি আদালতে ইডির জমা করা চার্জশিটে নামগুলি রয়েছে। তখনই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে যো কোনও তদন্তের মুখোমুখি তিনি দাঁড়াতে প্রস্তুত বলে দাবি করেন সুজয়।
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ইডি যে সমস্ত নথি চেয়েছিল, তা আমি জমা দিয়েছি। আমার কাছ থেকে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, জানিয়েছি। ইডি সন্তুষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে ইডির কাছ থেকে পাওয়া নথি দলের কাছে জমা দেব। দলের কাছে প্রস্তাব দেব, অন্য নেতারাও একই ভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা করুন। স্বচ্ছতাকে সামনে রেখে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশ্নে এখন যা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।’’ জেলা তৃণমূলের এই বরিষ্ঠ নেতার অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবারই হুড়ার লধুড়কা ময়দানে আমাদের দলীয় সভায় অনেক নেতার বক্তব্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁঝ ছিল না। শুধু পঞ্চায়েত জিতব, জিততে হবে— এ সব বললে কতটুকু হবে? লড়াইটা বিজেপির বিরুদ্ধে। কর্মীরা আমাদের মুখাপেক্ষী।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে সুজয়বাবুর কথা হয়নি। তাঁর এমন কোনও প্রস্তাব থাকলে ভাল কথা। দলে আলোচনা করব। তিনি প্রস্তাব দিন।’’ লধুড়কার সভা নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘সভা কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধেই ছিল। আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ যএ বিজেপি, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy