Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Irrigation Work

কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি চেক ড্যাম ভাঙছে ফি বছর! খরাপ্রবণ পুরুলিয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের

পর পর তিন বার সংস্কার করার পরেও বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে চেক ড্যামটি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চেক ড্যাম তৈরি করার ফলেই বেহাল অবস্থা বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন কৃষকরা।

Image of faulty check dam in purulia

খরাপ্রবণ পুরুলিয়ায় বেহাল চেক ড্যামের খণ্ডচিত্র। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ২১:১৪
Share: Save:

বার বার চেকড্যাম তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও বারই বর্ষা পেরোতে পারছে না তা। বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাচ্ছে চেকড্যামের বিভিন্ন অংশ। খরাপ্রবণ পুরুলিয়ার বেশির ভাগ জমিই একফসলি। তাই কৃষকদের নির্ভর করতে হয় সেচের উপর। চাষের জলের ব্যবস্থা করতে যে চেকড্যাম তৈরি করা হয়েছিল ফি বছর তা জলে ধুয়ে যাওয়া নিয়ে প্রবল ক্ষোভ পুরুলিয়ায়।

২০১৫-১৬ অর্থেবর্ষে পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের পিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাকিরবন ও গোপালপুরের মাঝে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি চেকড্যাম তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই বছর বর্ষায় চেকড্যামের অংশ ধুয়ে যায়। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের পর আবার ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে চেক ড্যামটির সংস্কার হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু সেই বর্ষায় আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাই ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আবার ২৯ লক্ষ টাকা দিয়ে চেকড্যামটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। কিন্তু আবার চেকড্যাম ভেঙে যায়।

পর পর তিন বার চেকড্যাম সংস্কার করার পরেও বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে চেকড্যামটি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চেকড্যাম তৈরি করার ফলেই বেহাল অবস্থা বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন কৃষকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে এলাকায় চাষের উন্নয়নের জন্য এই চেকড্যাম তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু চেকড্যাম তৈরির সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় বার বার বহু টাকা খরচ করেও চেকড্যামটি ঠিক রাখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে পুরুলিয়ার অধীক্ষক বাস্তুকার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১৬ সালে জলতীর্থ স্কিমে ওই চেকড্যামটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১-এর প্রচণ্ড বর্ষায় তার পার্শ্ববর্তী পাড় ভেঙে যায়।’’

প্রত্যাশিত ভাবেই এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন , ‘‘তৃণমূল হল টাকা মারা কোম্পানি বা টিএমসি। ড্যাম তৈরির জন্য যে সামগ্রী প্রয়োজন তা ব্যবহার না করে চুন-পুটি দিয়ে রং করে গোজামিল দেওয়া হয়েছে। ‌তাই বার বার ড্যামটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এলাকাবাসীরা বঞ্চিতই হয়ে রইলেন। এই দুর্নীতির জবাব মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে।’’ বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন বার বার টাকা খরচ করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সেই প্রশ্ন তিনি সেচ দফতরকে জি়জ্ঞাসা করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Irrigation Work purulia Check Dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE