(বাঁ দিক থেকে) জয়রামবাটি ও ইন্দাসের সোমসারে। নিজস্ব চিত্র ।
শ্রীমা সারদার ১৬৮তম জন্মতিথি পালিত হল মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের জয়রামবাটিতে। রামকৃষ্ণ মিশন সারদা সেবাশ্রমের শ্রীশ্রী মাতৃ মন্দিরে এই উপলক্ষে এ দিন ভক্ত সমাবেশ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠ ও মিশনের সহ সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ, জয়রামবাটির রামকৃষ্ণ মিশন সারদা সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ প্রমুখ।
তবে করোনা অতিমারির জন্য এ বার দর্শনার্থীদের জন্য ছিল বেশ কিছু বিধি নিষেধ। মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও মূল মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। ছিল না অন্য বারের মতো ম্যারাপ বেঁধে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। ‘আনলক’ পর্বের গোড়ায় ভক্তদের জন্য মাতৃমন্দিরের দরজা খুললেও, নাটমন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সেই বিধি জন্মতিথিতেও মানা হল। করোনা-স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদেরএ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের মন্দির চত্বরে থাকার সুযোগ ছিল।
মাতৃমন্দিরের তরফে স্বামী যুগেশ্বরানন্দ জানান, এ দিন প্রায় পাঁচ হাজার ভক্তের জন্য শুকনো প্রসাদের ব্যবস্থা থাকলেও, নরনারায়ণ সেবা বন্ধ ছিল। এই মুহূর্তে অতিথি নিবাসেও কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ দিন হয়নি প্রভাতফেরি।
মাতৃমন্দির সূত্রে জানা যায়, ভিন্ রাজ্য এবং বিদেশ থেকে পর্যটকেরা না এলেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল ভালই। পূর্ব বর্ধমান থেকে আসা সাহানা বসু বলেন, ‘‘অন্য বছরের মতো সপরিবারে মাতৃমন্দিরে এসেছি। স্বাস্থ্য-বিধি মেনে দূর থেকে দর্শন করেছি সারদাদেবীকে। প্রার্থনা করেছি, দ্রুত কাটুক অতিমারি।’’ হাওড়া থেকে আসা বিকাশ দাস বলেন, ‘‘এই প্রথম জয়রামবাটি এলাম। মন্দির চত্বরে কাটানোর অভিজ্ঞতা কোনও দিন ভুলব না।’’
শ্রীশ্রীমা সারদার জন্মতিথি উপলক্ষে মঙ্গলবার নানা কর্মসূচি হল বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। পুজো হল ইন্দাসের সোমসার শ্রীরামকৃষ্ণ সেবামন্দিরে। মঙ্গলবার সেখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মন্দিরের তরফে চিকিৎসক গৌর দাস জানান, করোনা-বিধি মেনে খুব সীমিত সংখ্যক ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ দিন তিথি পুজো উপলক্ষে বড়জোড়ার সাবগ্রামে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। বড়জোড়া ব্লক ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীর ব্যবস্থাপনায় এই শিবির হয়। উদ্যোক্তারা জানান, এই শিবিরে ৩০ জন রক্তদান করেন। এ দিন বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মঠে বিশেষ পুজো, চণ্ডীপাঠ, হোমের আয়োজন করা হয়। মঠের অধ্যক্ষ স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ জানান, করোনা বিধি মেনে ৭০০ ভক্তকে প্রসাদ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy