Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Jakir hossain

Jakir Hossain: জাকির-হত্যা মামলা: সবে ভোর, গ্রামে হাজির সিবিআই

পরে ফয়াজের স্ত্রী ও ছেলে আলমগীরকে বাড়িতে জেরা করেন তদন্তকারীরা। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে যায় সিবিআই।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। নিজস্ব চিত্র

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মল্লারপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৬
Share: Save:

সবে দিনের আলো ফুটেছে। মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে ঠিক সেই সময়েই হাজির সিবিআই! সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন সোমবার ভোর ৫টা থেকে ঘণ্টা দুয়েক কোট গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। অভিযুক্তদের সন্ধানে ১৩ জনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। সিবিআই গ্রামে ঢুকেছে—এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি হয়নি। এত বড় বাহিনী দেখে হইচই পড়ে যায় গ্রামে। এই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ফয়াজ কাজী সেই খবর শুনেই মাঠ দিয়ে পালিয়ে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা তাঁকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি।

পরে ফয়াজের স্ত্রী ও ছেলে আলমগীরকে বাড়িতে জেরা করেন তদন্তকারীরা। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে যায় সিবিআই। একই ভাবে এ দিন জাকির-খুনে অভিযুক্ত বাবলু শেখ এবং জহির কাজীকে
(দু’জনেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র তদন্তে নেমে গত ২৯ অগস্ট সিবিআই প্রথম কোট গ্রামে এসে জাকির হোসেন খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পরেই বিজেপি-র জেলা কমিটির সদস্য নাসিমউদ্দিন শেখের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোট গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কামরাঘাট মোড়ে নাসিমউদ্দিনের হার্ডওয়ারের দোকানেও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। গত ৮ মে সকালে নাসিমউদ্দিনের বাবা জাকির হোসেন ছেলের দোকানের পরিস্থিতি দেখে কোট গ্রামে ফিরছিলেন। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার আগেই বৃদ্ধ জাকির হোসেনকে লাঠি, ধারাল অস্ত্র, লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অস্ত্রোপচারের জন্য ১৬ মে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

বাবার মৃত্যুর পরে জাকির হোসেনের বড় ছেলে গিয়াসউদ্দিন শেখ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নাসিমউদ্দিনের অভিযোগ, তাঁর বাবা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বুথ এজেন্ট ছিলেন। বিজেপি করার জন্যই তৃণমূলের লোকজন জাকিরকে মারধর করে হাত পা ভেঙে দিয়ে খুন করেছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জহির কাজী এবং বাবলু শেখকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা অধরা। পুলিশের দাবি, বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। জহির ও বাবলু ৭০ দিন জেল হেফাজতে থাকার পরে বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

অন্য দিকে, নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে জেরা করার জন্য সিবিআইয়ের করা আবেদনের শুনানি সোমবার রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে হল না। সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ জানান, পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।

অন্য বিষয়গুলি:

Jakir hossain BJP CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy