সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’দের ব্যাঙ্ক লেনদেন। — ফাইল চিত্র।
গরুপাচার মামলায় এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-এর নজরে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিতরা। তাঁদের ব্যাঙ্কে লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ জন্য বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখার দুই আধিকারিককে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর চার জন সিবিআই আধিকারিক বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কেও যান। তাঁরা সেখানে নানা নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শান্তিনিকেতনের রতন কুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় বোলপুরের ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কটির দুই আধিকারিককে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কটিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রতর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে এলাকায় পরিচিতদের। সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে খোঁজ নিচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে ব্যাঙ্ককর্মীদের।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ব্যাঙ্কে লেনদেনের দিকে নজর সিবিআইয়ের। এর আগে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং অন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে অনুব্রতের আত্মীয়-পরিজনদের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া যায় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে এ পর্যন্ত কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সে তথ্য আগেই সংগ্রহ করেছে সিবিআই। এখন তদন্তকারীদের নজর অন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায়। এ বার তদন্তকারীরা সংগ্রহ করছেন সেই তথ্য।
বুধবারই আদালতে তোলা হয়েছিল অনুব্রতকে। আদালতে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য জমা করেছে সিবিআই। তা ছাড়া কেষ্টর নামে বহু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, এনামুলের সঙ্গে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তাঁদের হাতে রয়েছে সেই তথ্য। আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁকে আবার পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে। ওই মামলার আগামী শুনানি রয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy