সুনসান: খেজুরখেন্নার পথে। ছবি: সুশীল মাহালি
পায়ের ছাপে মিল থাকলেও জন্তুটি যে বাঘ, সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় বন দফতর। তাই ছবি পেতে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের জঙ্গলের পাঁচটি জায়গায় ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ বসানো হল মঙ্গলবার। সুন্দরবন থেকে ওই পাঁচটি ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ প্রধান। সেই সঙ্গে তাঁর অনুমান, যে জন্তুর পায়ের ছাপ বিনপুরে দেখা গিয়েছে, সেই একই জন্তুর ছাপ মিলেছে রানিবাঁধে।
ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) বলেন, “নতুন করে আর পায়ের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে একই জন্তুর পায়ের ছাপ বিনপুর ও রানিবাঁধের জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই পশুর পায়ের ছাপ যে সব এলাকায় দেখা গিয়েছে, তারই আশপাশে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’গুলি বসানো হয়েছে।”
শনিবার রানিবাঁধ রেঞ্জের পুনশ্যা বিট এলাকার খেজুরখেন্না গ্রামের চাষজমিতে ওই জন্তুর পায়ের ছাপ মেলে। এক সময়ের মাওবাদী শীর্ষ নেতা খেজুরখেন্নার বাসিন্দা রঞ্জিত পালের বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটারের মধ্যেই ওই চাষজমি। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়ের ছাপ খতিয়ে দেখেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) রাজীব শর্মা। ওই ছাপ বাঘের বলেই তাঁর অনুমান বলে জানান রাজীববাবু। এর পরেই বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের জঙ্গলমহল এলাকার রানিবাঁধ, ঝিলিমিলি, ফুলকুসমা ও মটগোদা রেঞ্জ এলাকায় সতর্কতা জারি করে বন দফতর। চব্বিশ ঘণ্টা টহলদারি চালানোও শুরু হয়েছে জঙ্গলে।
এ দিন খেজুরখেন্নায় গিয়ে দেখা যায়, পুনশ্যা বিটের আধিকারিক নিমাই মাহাতো ঘটনাস্থলে। তিনি জানান, “জঙ্গলে টহলদারি চলছে।” বন দফতর সূত্রে খবর, ওই চারটি রেঞ্জে নজরদারির জান্য এবং সেই সঅঙগে গ্রামবাসীকে সতর্ক করার জন্য বাঁকুড়া জেলার অন্য রেঞ্জ থেকেও বনকর্মীদের আনা হচ্ছে। তবে রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচল দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের। অনেকেই বক্তব্য, ঘরে বসে থাকলে খাবার জুটবে কী করে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy