স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। তারাপীঠ থানা এলাকার ঘটনা। বুধবার সকালে তারাপীঠ থানায় বধূর বাপের বাড়ির লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায় মৃতার নাম পুষ্পা রবিদাস (২৬)। বাড়ি তারাপীঠের বাগানপাড়া এলাকায়।
পুষ্পার বাবা নলহাটি থানার খাপুড় গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি ধনি রবিদাস। তিনি বলেন, ‘‘বড় মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। পুষ্পার দু’বছর আগে তারাপীঠের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক নয়ন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়ের বিয়ের সময় ৪০ হাজার টাকা নগদ ও গয়না-সহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিয়ের দু’ এক মাস পরে থেকেই জামাই নয়ন দাস মেয়েকে মদ খেয়ে প্রায়ই মারধর করত। এ ব্যাপারে তারাপীঠ থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নয়ন দাসকে পুলিশ আটক করেছিল। কিন্তু নয়ন তার স্বভাব পালটায়নি। মেয়ে বাপের বাড়িতে কান্নাকাটি করলেও স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেও সংসার করত। মেয়েকে জামাই ও শাশুড়ি গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে।’’
মেয়েকে হারিয়ে পুষ্পার মা পান্তশীদেবী বলেন, ‘‘জামাই মাস পাঁচেক আগে গাড়ি কেনার জন্য মেয়ের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু একে জামাই মদ্যপ তার উপরেও আমরাও গরীব। সেই জন্য জামাইয়ের দাবি মতো একলক্ষ টাকা দিতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম।’’
তাঁরা জানান, এক আত্মীয় মারা যাওয়ার খবর দিয়ে জামাই ও মেয়েকে বাড়ি আসার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোন করে ছিলেন তাঁরা। বুধবার সকালে পুষ্পাকে সঙ্গে নিয়ে আসার কথা জানিয়ে ছিলেন নয়ন। তারমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার হতবাক সকলে।
রবিদাস জানান, মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এক আত্নীয় খবর দেয় বধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিদাস বলেন, ‘‘বুধবার ভোরে হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ে মারা গিয়েছে। পাশে জামাই বা মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেউ নেই।’’
তারাপীঠ থানায় প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নয়ন দাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy