ফাইল চিত্র।
পুরনো বিবাদ ঘিরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বোমাবাজিতে আতঙ্ক ছড়াল সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামে। বোমাবাজিতে শেখ নবির নামে এক ব্যক্তির সীমানা পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রাম থেকে ৪৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বোমাবাজির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ এনামুলের।
সাহাপুরের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এনামুল ও নবির গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরেই এ দিন বোমাবাজি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ এনামুলের বিরুদ্ধে ‘দূর্নীতি’ ও ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ তুলে বছর দুই আগেই তাঁকে কার্যত গ্রাম ছাড়া করেছিলেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। সেই ঘটনায় সামনের সারিতে ছিলেন শেখ নবির। গত শনিবার এক কিশোরীর নামে সমাজমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্টকে ঘিরে সাহাপুরে শেখ লালন নামে এক বাসিন্দার ভাইকে মারধর করা হয়। লালনের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছিল নবিরদের বিরুদ্ধে। লালন সম্পর্কে এনামুলের আত্মীয়। ওই ঘটনায় থানায় শেখ নবির-সহ কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁরা গা ঢাকা দেন।
স্থানীয় সূত্রেই জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া থাকলেও গ্রামে নিজের জমি ফেরত পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন এনামুল। শেখ নবির গ্রামছাড়া হয়ে যাওয়ায় সেই সুযোগ আরও বেড়েছিল। তার জেরেই বৃহস্পতিবার এনামুলের দলবল বোমাবাজি করেছে বলে নবির গোষ্ঠীর অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানান, এ দিন মুখে কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীরা যথেচ্ছ বোমাবাজি এনামুলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা এলাকার পর্যবেক্ষক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এনামুল দায়ী হয়ে থাকলে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে।’’
অন্য দিকে, এ দিনই বিকেলে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সদাইপুর থানারই ভুরকুনা পঞ্চায়েতের তুরুকবড়িহাট গ্রামে। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ ইমলাখের। যদিও ঘটনার পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিকাশবাবু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির চত্বরে টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে সাহাপুরের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ঘটনার পরেই এলাকা ছাড়া ওই তৃণমূল কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy