চিহ্ন: গোলমালের জের। কোট গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে। ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখছেন অনেকে। তৃণমূল অবশ্য তা মানেনি।
রবিবার সকালে ওই গ্রামে বোমাবাজি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে এলাকায় যান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিৎ বড়ুয়া। পুলিশ জানায়, বোমাবাজির ঘটনায় কেউ জখম হয়নি। গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারা বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি। পুলিশ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
স্থানীয় একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই বিবাদের পিছনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মল্লারপুর ১ ব্লকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সভায় কোট গ্রাম থেকে তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ বাজনা বাজিয়ে সভায় যায়। আজ সকালে তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর লোকজন বক্স বাজিয়ে গ্রামে পিকনিক করার প্রস্তুতি শুরু করে। গ্রামের বাসিন্দাদেরই একাংশের দাবি, তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরেই বোমাবাজি হয়।
কোট গ্রাম ময়ূরেশ্বর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। গ্রাম সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান সায়রা বিবির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহনির্মাণ সহ বার্দ্ধক্য ভাতা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। গ্রামবাসীদের একাংশ দীর্ঘদিন আগে তা নিয়ে ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিওর দ্বারস্থও হন। তাই নিয়ে সায়রা বিবির গোষ্ঠীর সঙ্গে গ্রামের তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর বিবাদ আছে বলেও দল সূত্রে খবর। রবিবার সকালে গ্রামে বোমাবাজির পিছনে গ্রামের পুরাতন রাজনৈতিক বিবাদকেই অনেকে দায়ী করেছেন।
সায়রা বিবির সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রথীন সরকার বলেন, ‘‘গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy