ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী
শান্তিনিকেতনে এক শিশুকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাড়ির অ্যাসবেস্টসের ছাদ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পাঁচ বছরের শিবম ঠাকুরের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই মূল অভিযুক্ত প্রতিবেশী রুবি বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁর মা সুফিকা বিবিকেও। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন রুবি।
মঙ্গলবার শিবমের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতনের মোলডাঙাপাড়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে রুবির বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তা জ্বালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, তার পর থেকে সেখানে বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। এলাকা এখনও থমথমে। এই অবস্থার মধ্যেই বুধবার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শেষ করে শিবমের দেহ গ্রামে আনা হয়েছে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির কাছে একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল শিবম। তার পর থেকেই সে নিখোঁজ। মাঝে পুলিশ এসেও তার খোঁজ পায়নি। এর পর মঙ্গলবার বেলার দিকে রুবির বাড়ি থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই পড়শিদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই প্রথমে ওই বাড়িতে খোঁজখবর করেন। থানাতেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসেই শিবমের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, শিবমের পরিবারকে একবার দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন রুবি। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এ সব বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করতেই ভেঙে পড়েন রুবি। তার পরেই খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বুধবারই ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে। তাঁদের পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy