গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে লকেট।
পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় বীরভূমের বোলপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে শান্তিনিকেতন থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপিনেত্রী। প্রায় ৫২ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। তার পরেও কেন পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারল না, সেই প্রশ্ন তুলে লকেট বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, অপহরণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রুবি বিবির দাদা আনালুল অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভার ছিলেন।
যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে। বুধবার ফরেন্সিক দলের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, এডিজি সঞ্জয় সিংহ এবং শ্যাম সিংহ। সুপার বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের শাস্তি হবে।’’
মঙ্গলবার শিবমের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল মোলডাঙাপাড়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে রুবির বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তা জ্বালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনও বিশাল বাহিনী মোতায়েন রয়েছেন এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার এলাকায় লকেট এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ। এলাকার মানুষের স্পষ্ট বক্তব্য, এই ঘটনায় তাঁরা রাজনীতি চান না। এর পরেই লকেট শান্তিনিকেতন থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
সাংসদের দাবি, ‘‘যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে আমায় ঢুকতে দেননি, তাঁরা তৃণমূলের লোক। তাঁদের মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ আমায় বলেছিল, রাস্তা পরিষ্কার আছে। এর পর আমি গ্রামের দিকে যেতেই তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আমার প্রাণ সংশয়ও হতে পারত।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘যত ক্ষণ না আমি ওই গ্রামে ঢুকতে পারছি, তত ক্ষণ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে যাব।’’
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটিতে দুই পড়ুয়াকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। বোলপুরে শিশু খুনের ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন লকেট। তিনি বলেন, ‘‘৫২ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারল না পুলিশ?’’ লকেটের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুপার বলেন, ‘‘পুলিশ প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল। নানা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।’’
প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফেও। শাসকদলের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘শিশুমৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতও কড়া শাস্তি দেবে, আশা করি। কিন্তু ভারতে অনেক ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কেন চুপ বিজেপি বিধায়কেরা। ওরা সিবিআই-ইন্টারপোল চাইতে পারেন। সব বিষয়েই করেন। এই ঘটনায় পুলিশের যা দায়িত্ব, তা পুলিশ পালন করবে। বিজেপির ফাঁদে আমরা পড়ছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy