সহদেব বাগদি
খয়রাশোলের ঘটনার রেশ মেলাতে না মেলাতেই এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল লাভপুরের বাঘা গ্রামে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ মানেননি। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সহদেব বাগদি (৪৫)। বাড়ি বাঘা গ্রামেই। তিনি তৃণমূলের স্থানীয় ঠিবা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য তথা বুথ কমিটির সদস্য ছিলেন। এ দিন বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিমি দূরে মাঠের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সহদেবের বাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এ দিন সকালেও মাঠের কাজে গিয়েছিলেন সহদেব। দুপুরে বাড়ি থেকে তাঁকে খাবার দিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় মাঠ থেকে ফেরার কথা। কিন্তু, এক গ্রামবাসী জমিতে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামে খবর দেন। তৃণমূল তরফে লাভপুরের পর্যবেক্ষক তথা দলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহের দাবি, ‘‘সহদেব আমাদের দলের ভাল সংগঠক ছিলেন। সেই আক্রোশে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওকে খুন করেছে।’’ একই সুরে নিহতের ভাই প্রশান্ত বাগদি বলেন, ‘‘আমরা সবাই তৃণমূল করি। সেই আক্রোশে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা আমার দাদাকে মেরেছে।’’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে।’’ দলের আর এক সহা-সভাপতি দেবাশিস ওঝার আবার বক্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সহদেব আমাদের দলের দিকে ঝুঁকেছিলেন। সেই রাগে ওঁকে শাসকদলের তরফে হুমকি দেওয়া হত। ভয়ে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই খুনের আসল কারণ জানা যাবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করে অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy