—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান। পুজোর পরে তাঁর হাতেই বিজেপি ধরাল তালড্যাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থীর টিকিট। বাঁকুড়ার নির্দল পুর-প্রতিনিধি তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে বিজেপি তালড্যাংরা বিধানসভার জন্য প্রার্থী করায় চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এতে বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা যেমন অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তেমনই তৃণমূল নেতৃত্বেও কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। অন্যন্যা অবশ্য প্রথম দিনেই নিজেকে তালড্যাংরার ঘরের মেয়ে বলে প্রচার করতে নেমে পড়েছেন। তাঁর বাপের বাড়ি তালড্যাংরায়। অনন্যা বলেন, ‘‘তালড্যাংরা আমার প্রথম বাড়ি। সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে আমার ছোট থেকে সম্পর্ক। ফলে বাড়ির মেয়ে হিসেবেই তাঁরা আশীর্বাদ করবেন।’’
বাঁকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুর-প্রতিনিধি হিসেবে অনন্যার রাজনৈতিক জীবন শুরু। গত পুরনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তিনি নির্দল হিসেবে লড়াই করে জয়ী হন। দল-বিরোধী কাজের জন্য তৃণমূল অনন্যাকে বহিষ্কার করে। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর তালড্যাংরায় প্রার্থী হওয়ার জল্পনা ছড়ায়। যদিও জেলা নেতৃত্ব তালড্যাংরার উপনির্বাচনে দলেরই এক প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে প্রার্থী করতে চেয়ে রাজ্যে নাম পাঠান। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’’ তবে বিজেপির তালড্যাংরা বিধানসভার এক মণ্ডল সভাপতি বলেন, ‘‘বার বার অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আসা নবাগতদের প্রার্থী করছেন রাজ্য নেতৃত্ব। এতে কর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আমরা হতাশ।’’
বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি এমন এক জনকে প্রার্থী করেছে, যাঁর গায়ে এখনও তৃণমূলের গন্ধ। বিজেপি নেতৃত্ব নিজের দলের পুরনো কর্মীদের প্রার্থী করার যোগ্য বলে মনেই করেন না।’’ যদিও তা মানেননি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। অনন্যাও বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই ছিন্ন হয়েছে। আর জি করের ঘটনার পরেই বিজেপিতে যাব ঠিক করি। দলের কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy